শ্রীপুরে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা

এসআইসহ আহত ৮

বণিক বার্তা প্রতিনিধি গাজীপুর

গাজীপুরের শ্রীপুরে জিম্মিদশা থেকে দুই আদম ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। সময় হামলাকারীরা পুলিশের অস্ত্র গুলি ছিনিয়ে নেয়। গত শুক্রবার রাতে ৯৯৯- কল পেয়ে পুলিশ উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের কসাইপট্টি এলাকায় গেলে ঘটনা ঘটে। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন রুশমি আরা, মনিশা মনি, ফরহাদ, তাজুল ইসলাম মোল্ল্যা আব্দুর রহমান। আহতরা হলেন, আবুল কালাম, রনি, মাসুম, ফয়সাল ওমর বেপারি।

হামলার শিকার কুমিল্লার আবুল হোসেন রনি জানান, তিনি ঢাকার পুরানা পল্টন এলাকার রাখা ইন্টারন্যাশনালের মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত। লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন দেশে বৈধভাবে লোক পাঠানো হয়। ফেব্রুয়ারিতে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি নোয়াগাঁও এলাকার ইসমাইল হোসেন শাহাদত হোসেন নামে দুজনকে দুবাই পাঠানোর জন্য তাদের কাছ থেকে লাখ ৬০ হাজার টাকা নেয়া হয়। কাগজপত্র প্রক্রিয়া করতে গিয়ে করোনাকালীন লকডাউনে তাদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। এতে করে তাদের আর বিদেশ পাঠানো সম্ভব হয়নি। অবস্থায় ইসমাইল হোসেন তাদের জমা দেয়া টাকা ফেরত দিতে বলেন। পরে এপ্রিলে ইসমাইলকে ৫০ হাজার টাকা বিকাশ করে ফেরত পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর ফোন করে ইসমাইল আমাকে তার গ্রামের বাড়িতে দাওয়াত দেন এবং আরো লোকজনকে বিদেশ পাঠানোর জন্য আলোচনা করার প্রস্তাব দেন। দাওয়াত পেয়ে গত বৃহস্পতিবার ২৪ সেপ্টেম্বর বিকালে আমি আমার বন্ধু মো. ফয়সাল আহমেদ শ্রীপুরের নোয়াগাঁও ইসমাইলের বাসায় যাই। আমাদের খাওয়া-দাওয়া শেষে ইসমাইল ঘরের দরজা বন্ধ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩০০ টাকা মূল্যের সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন এবং সঙ্গে থাকা দুটি মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেন। বিষয়টি জানিয়ে আমার সহকর্মী মো. ফয়সালকে জানাই। পরে ফয়সাল শুক্রবার রাত ৮টায় ফয়সাল, তার বন্ধু ওমর বেপারি, মো. কালাম মাসুমকে সঙ্গে নিয়ে ইসমাইলের বাড়িতে পৌঁছান। মাসুম ছাড়া অন্যরা ওই ঘরে ঢোকেন। তারপর ঘরের দরজা আটকে স্ট্যাম্প দেখিয়ে লাখ টাকা দাবি করে ইসমাইল তার লোকজন। একপর্যায়ে টাকা না নিয়ে যাওয়ায় মারধর করেন। মাসুম বাইরে থেকে মারধরের বিষয়টি টের পেয়ে জাতীয় সেবা নম্বর ৯৯৯- ফোন করে বিষয়টি জানায়।

শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীপুর থানার এসআই মো. রফিকুল ইসলাম, কনস্টেবল খোরশেদ আলম এক আনসার সদস্য ইসমাইলের বাড়িতে যান। ইসমাইল তার লোকজন অতর্কিতে পুলিশের ওপরও হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে থাকা শটগান পিস্তলের গুলিভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নেয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুই নারীসহ পাঁচজনকে আটক ছিনিয়ে নেয়া অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন