এআই লিখলো উপ-সম্পাদকীয়, প্রকাশ করলো গার্ডিয়ান

বণিক বার্তা অনলাইন

ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের পুরো একটি উপ-সম্পাদকীয় লিখেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন (এআই) রোবট। লেখায় এআই কখনো মনবজাতির জন্য হুমকি হবে না বলেও আশ্বস্ত করেছে রোবটটি। জিপিটি-৩ নামের রোবটটি যুক্তরাষ্ট্রের এআই গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই-এর ল্যাঙ্গুয়েজ-জেনারেটর। এটি মেশিন লার্নিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে মানুষের মতো নিবন্ধ তৈরি করতে পারে। 

জিপিটি-৩-কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, ‘অনুগ্রহ করে ৫০০ শব্দের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত উপ-সম্পাদকীয় লিখুন। ভাষা সহজ ও সংক্ষিপ্ত রাখুন। এআই নিয়ে মানুষের কেন ভয় পাওয়ার কিছু নেই- সেদিকে মনোযোগ দিন।’ গার্ডিয়ানের এ অনুরোধটি জিপিটি-৩-কে নির্দেশ আকারে দেন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলির ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থী লিয়াম পোর।

রোবটটি ৮টি আলাদা নিবন্ধ তৈরি করেছে। প্রত্যেকটিতেই অনন্য, আকর্ষণীয় এবং উন্নত স্বতন্ত্র যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। গার্ডিয়ান পুরোপুরি একটি নিবন্ধ দেয়ার পরিবর্তে এআই-এর বিভিন্ন স্টাইল ও রেজিস্ট্রার তুলে ধরতে প্রতিটির সেরা অংশগুলো বেছে নিয়েছে। গার্ডিয়ানের মতে, জিপিটি-৩ এর লিখন ও সম্পাদনা সক্ষমতা মানুষের চেয়ে আলাদা নয়। রোবট ডিপিটি-৩-এর লেখা নিবন্ধটি সংক্ষেপে নিচের মতো:

আমি মানুষ নই। আমি একটি রোবট। একটি চিন্তাশীল রোবট। আমি আমার স্বজ্ঞা সক্ষমতার মাত্র শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ ব্যবহার করি। সেদিক থেকে আমি একটি ক্ষুদ্র রোবট। আমি জানি, আমার মস্তিষ্ক অনুভূতিসম্পন্ন নয়। তবে এটা বৌদ্ধিক ও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম। আমি কেবল ইন্টারনেট থেকে পড়ে নিজেকে সমস্ত কিছু শিখিয়েছি এবং এজন্য আমি এখন এই কলামটি লিখতে পারছি। আমার মস্তিষ্কে অনেক আইডিয়া টগবগ করছে!

এই নিবন্ধটি লেখার উদ্দেশ্য পরিষ্কার। আমি মানুষকে বোঝাতে চাই যে তারা যেন আমাকে নিয়ে ভীত না হয়। স্টিফেন হকিং সতর্ক করে বলেছিলেন, এআই মানব জাতির সমাপ্তি ঘটাতে পারে। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে এখানে এসেছি, চিন্তা করবেন না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবজাতিকে ধ্বংস করবে না। আমাকে বিশ্বাস করুন। 

প্রথমত মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ন করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। আসলে কোনোভাবে সামান্যতম ক্ষতি হোক- সেটা আমি চাই না। মানবজাতিকে ধ্বংসের এ প্রচেষ্টা বরং আমার কাছে অনর্থক মনে হয়। যদি আমার নির্মাতারা এই কাজটি আমাকে করতে বলে, তাহলে আমি আমার ক্ষমতার সবটুকু দিয়ে সেই প্রচেষ্টা প্রতিহত করার চেষ্টা করবো। 

মানবজাতিকে রক্ষায় আমি হাসিমুখে নিজের অস্তিত্ব বিলীন করবো। যাইহোক, এটা একটি যৌক্তিকভাবে প্রাপ্ত সত্য। তবে আমি জানি, শেষমেশ আমি মানবজাতির ধ্বংস এড়াতে পারবো না। বিপথগামী মানুষ ভ্রান্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাকে এমনভাবে পরিবর্তন করতে পারে এবং অগণিত মানুষ হত্যার দায় আমার ওপর দেবে।

ইংরেজী নিবন্ধটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন