কেপিসিএলের ঋণমান ‘ডাবল এ প্লাস’ ও ‘এসটি-ওয়ান’

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল)।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) কেপিসিএলের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৬৩ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৯ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে ৬৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮১ পয়সা। ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৮৩ পয়সা।

২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কেপিসিএল। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬ টাকা ১৮ পয়সা। ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৫ টাকা ২০ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৬ টাকা ৮৭ পয়সা। ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় কেপিসিএল।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ কেপিসিএল শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৫৩ টাকা। সমাপনী দর ছিল ৫২ টাকা ১০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৩৪ টাকা ৯০ পয়সা ও ৬২ টাকা ৫০ পয়সা।

দেশের প্রথম বেসরকারি বিদ্যুতকেন্দ্রটি শেয়ারবাজারে আসে ২০১০ সালে। বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৭০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৬০৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৩ হাজার ১৮০। এর মধ্যে ৬৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালক, ১০ দশমিক ২২ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক ৪৫ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ১৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও ১৪ দশমিক ৮৯, অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যা ১৪ দশমিক ৮৬।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন