দুদকের কমিশনার পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ১

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে  মো. মোছাব্বির নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাকে অগ্রণী ব্যাংকের রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শাখা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

দুদক জানিয়েছে, জনৈক বা একাধিক ব্যক্তি দুদকের মনোগ্রাম সংবলিত প্যাড ও একজন দুদক কমিশনারের নাম, স্বাক্ষর ও পদবি ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে দুদকের ম্যাগাজিন প্রকাশের নামে বিজ্ঞাপন চেয়ে অর্থ দাবি করছে- এরকম একটি অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধানে নামে সংস্থাটি। দুদকের গোয়েন্দা অনুবিভাগের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর তত্ত্বাবধানে উপপরিচালক এ কে  এম মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়। দলের অন্য সদস্যরা হলেন উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। এই দলটি তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে নিশ্চিত হয় যে, একাধিক প্রতারক এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে ঠকিয়ে অর্থ আদায় করছে। দুদকের দলটি জানতে পারে, আজ বৃহস্পতিবার প্রতারক চক্রের এক সদস্য অগ্রণী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শাখায় এসে প্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত এই টাকা উত্তোলন করবেন। সে অনুযায়ী সকাল থেকেই দুদক টিমের সদস্যরা ব্যাংকটির আশে-পাশে নজরদারি বাড়ান। প্রতারক মোছাব্বির হোসেন ব্যাংকে আসলেই দুদক টিম তাকে চ্যলেঞ্জ করে এবং ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ টাকা জমার বিষয়টি তুলে ধরে এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাকে গ্রেফতার করে। 

এর আগে ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল একই জাতীয় অপরাধে মো. নজরুল ইসলাম নাইমের বিরুদ্ধে রামপুরা থানা মামলা করেছিল দুদক। সেই মামলায় রামপুরা হতে তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। মামলাটি এখনও বিচারাধীন। দুদক জানতে পেরেছে, আজ দুদকের হাতে গ্রেফতার হওয়া মোছাব্বির সেই প্রতারক মো. নজরুল ইসলামের টিমের এক সদস্য। 

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের উপপরিচালক এ. কে. এম মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে দন্ডবিধির ৪০৬/৪৬৮/৪৭১/ ৪৭৬/১০৯ ধারায় মো. নজরুল ইসলাম নাঈম ও মো. মোছাব্বিরের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন