সংক্রমণ ছাড়াল ২ কোটি

তবু আশার আলো দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বণিক বার্তা ডেস্ক

মাত্র পাঁচ মাস আগে কভিড-১৯-কে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সেই থেকে বিশ্বে কভিড-১৯ সংক্রমণ দুই কোটি ছাড়িয়ে গেল। মাইলফলকের কথা উল্লেখ করে সংস্থাটির প্রধান আশার বাণীও শোনালেন। তিনি বলেছেন, ‘ভাইরাসকে যদি কার্যকরভাবে দমন করা যায়, আমরা নিরাপদেই সব উন্মুক্ত করে দিতে পারব।খবর দ্য গার্ডিয়ান।

এপ্রিলের শুরুর দিকে বিশ্বে সংক্রমণ ১০ লাখ ছাড়ায়। ২২ মে সংক্রমণ পৌঁছে ৫০ লাখে, যা জুনের মধ্যেই বেড়ে দ্বিগুণ (এক কোটি) হয়। সাত সপ্তাহ পর তারও দ্বিগুণ হয়ে বিশ্বে মোট সংক্রমণ এখন দুই কোটির ওপরে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাডহ্যানম গেব্রেইসাস বলেছেন, প্রাদুর্ভাবের ফলে অনেক কষ্ট আর দুর্ভোগ এবং সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পরও তিনি মনে করেনআশার সবুজ রেখা রয়েছে এবং প্রাদুর্ভাবকে ঠেকিয়ে দেয়ার সময় এখনো পার হয়ে যায়নি।

কভিড-১৯-কে সফলভাবে মোকাবেলা করার উদাহরণ হিসেবে নিউজিল্যান্ড রুয়ান্ডার কথা বলেন গেব্রেইসাস। যদিও গতকাল ঠিক ১০০ দিন পর স্থানীয় পর্যায়ে একটি সংক্রমণের কথা জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড। কারণে অকল্যান্ডে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া যেসব দেশ কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এখন স্থানীয় পর্যায়ের সংক্রমণকে দ্রুত সামাল দিচ্ছে তাদের প্রশংসাও করেন ইথিওপিয়ান।

সোমবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে গেব্রেইসাস বলেন, ‘আমার বার্তাটি পরিষ্কার: ভাইরাসকে দমন, দমন আর দমন করুন। আমরা যদি ভাইরাসকে কার্যকরভাবে দমন করি, তবে নিরাপদেই সমাজ খুলে দিতে পারব।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশই কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কবলে পড়েছে এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। তবু টিকা তৈরির প্রতিযোগিতাও চলছে সমানতালে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক পর্যবেক্ষণ

বলছে, বিশ্বে ১৬৫টি টিকা তৈরির কাজ চলছে, যার মধ্যে ছয়টি এখন তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে। রাশিয়া গতকাল নভেল করোনাভাইরাসের প্রথম টিকার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। যদিও নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বিভাগের পরিচালক মাইকেল রায়ান অবশ্য টিকা নিয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটা মাত্র একটি সমস্যার সমাধান করবে, পুরো সমস্যা নির্মূল করবে না। উদাহরণ হিসেবে তিনি পোলিও হামের কথা উল্লেখ করেন, যা টিকা দিয়ে পুরোপুরি নির্মূল করা যায়নি।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, গতকাল পর্যন্ত বিশ্বে মোট সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা কোটি লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি, আর মৃত্যু হয়েছে লাখ ৩৭ হাজার মানুষের। সর্বোচ্চ প্রায় ৫১ লাখ মানুষ সংক্রমিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, সেখানে মারা গেছে লাখ ৬৩ হাজারেরও বেশি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন