আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে না। যদিও প্রতিবছর ঈদের সময় স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা থাকে। এবার করোনা মহামারীর কারণে তার ব্যত্যয় ঘটছে। এছাড়া টিকিট ছাড়া স্টেশনে প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ শনিবার ট্রেনযোগে বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, টঙ্গী ও নরসিংদী রেলস্টেশন পরিদর্শন করার সময় এসব কথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
মন্ত্রী বলেনন, টিকিট ছাড়া যাত্রীরা যাতে স্টেশনে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য দেশের বড় স্টেশনগুলোতে নিয়ন্ত্রণ (এক্সেস কন্ট্রোল) করার জন্য বেড়া দেওয়ার প্রকল্পের কাজ চলছে।
এসময় মন্ত্রী বিমানবন্দর রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্ম সংস্কার কাজ ও স্টেশনের সীমানা ঘেরাও নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন। এখানে প্লাটফর্মের উচ্চতা ট্রেনের উচ্চতার সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে।
সেখান থেকে মন্ত্রী পরে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী ও জামালপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন হবে। এছাড়া, ঢাকা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ফোর লাইন এবং টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইনের কাজ চলছে। ডাবল লাইনের কাজ শেষ হলে ঢাকার মধ্যে অধিক সংখ্যক ট্রেন চালানো যাবে।’
সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজ নিজ কর্মস্থল এলাকায় অবস্থান করে এবারের ঈদ উদযাপন করুন। কারণ এবারের ঈদে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে না। যেভাবে এখন চলছে সেভাবেই চলবে।
মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে গাজীপুরের জন্য আলাদা ট্রেনের ব্যবস্থা করা হবে। জয়দেবপুর জংশন হলেও তা পুরোপুরি জংশনের সুবিধা পাচ্ছে না। তাই অতিদ্রæত এটি পুর্ন জংশনের মর্যাদা পাবে। গাজীপুর একটি শিল্প নগরী। এখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক ঢাকায় গিয়ে চাকুরি ও ব্যবসা বাণিজ্য করে থাকে। প্রতিদিন যেন ঢাকা-গাজীপুর লাইনে ৭-৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারে সে পরিকল্পনা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। রেলকে আমরা একটি ডিসিপ্লেনের মধ্যে আনতে চাই।
মন্ত্রী সেখান থেকে পরে টঙ্গী রেলস্টেশন এবং নরসিংদী রেলস্টেশন পরিদর্শন করেন।
এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।