অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক)। নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর পণ্যটির বাজার ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছিল। এ সময়ে ওপেক ও এর মিত্র দেশগুলো (যা ওপেক প্লাস নামে পরিচিত) পণ্যটির রেকর্ড উত্তোলন হ্রাস চুক্তি হাতে নেয়। গত মাসে চুক্তিটির শতভাগ পালনে সক্ষম হয়েছে জোটটি। তবে এ সময়ে ওপেকের অন্যতম সদস্য দেশ ইরাক ও নাইজেরিয়া চুক্তির শর্ত পুরোপুরি পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি উভয় দেশই জোটটির চুক্তি শতভাগ মেনে চলার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। খবর রয়টার্স।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা এসটিএ সম্প্রতি জানিয়েছে, নাইজেরিয়ার জ্বালানি তেলমন্ত্রী তিমিপ্রে সিলভা তার সৌদি কাউন্টারপার্টের সঙ্গে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে আলাপকালে বলেছেন, দেশটি গত মে ও জুনে চুক্তির বাইরে গিয়ে যে অতিরিক্ত জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছে, চলতি ও আগামী মাসে বাড়তি উত্তোলন হ্রাস করার মাধ্যমে তা পুষিয়ে আনবে।
একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইরাকের জ্বালানিমন্ত্রী ইহসান আবদুল জব্বার ইসমাইল। তিনি বলেন, ওপেক প্লাসের চুক্তি মেনে চলতে বাগদাদ শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মে, জুন ও চলতি মাসজুড়ে জোটটির নির্ধারিত কোটার বাইরে যে অতিরিক্ত জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছে দেশটি, আগস্টের প্রথম থেকেই তার সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানের চেষ্টা করবে তারা।
উল্লেখ্য, গত জুনে ওপেক সম্মিলিতভাবে দৈনিক গড়ে ২ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছে, যা গত তিন দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। তবে ইরাক ও নাইজেরিয়া চুক্তি পালনে এবারো ব্যর্থ হয়েছে। নাইজেরিয়া ৭৭ শতাংশ এবং ইরাক গড়ে ৭০ শতাংশ চুক্তি মেনে চলেছে। এর আগের মাসেও ইরাক দৈনিক গড়ে ৫ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল ও নাইজেরিয়া দৈনিক গড়ে ১ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল বেশি জ্বালানি তেল উত্তোলন করেছে।