বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টার আবুল বাসারকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গত রোববার দিবাগত রাতে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি মাগুরার মোহাম্মদপুর থানার কলাগাছী গ্রামের মৃত সিরাজুল হক মোল্লার ছেলে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার বলেন, র্যাব-১০-এর একটি দল রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে ময়ূর-২ লঞ্চের মাস্টারকে গ্রেফতার করা করেছে। তিনি বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামি। লঞ্চডুবির ঘটনার পর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপন করেছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন রাজধানীর সদরঘাটে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। পরে নদী থেকে ডুবে যাওয়া মর্নিং বার্ড লঞ্চের ৩৪ জন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নৌ-পুলিশ বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করে। মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টার, স্টাফসহ অজ্ঞাত আরো পাঁচ-সাতজনকে আসামি করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেককে রাজধানীর সোবহানবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে নৌ-পুলিশ। তার আগে গ্রেফতার হয় ময়ূর-২ লঞ্চের সুপারভাইজার আবদুস সালাম।
র্যাব জানায়, লঞ্চডুবির পর আবুল বাসার মাগুরায় নিজ গ্রামে চলে যায় এবং রাতের খাবার খেয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি বাড়িতে রাত্রীযাপন করে। পরদিন ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গায় যান এবং সেখানে দুইদিন অবস্থান করার পর ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানার আখালিপাড়া তার ভায়রার ভগ্নিপতির বাড়িতে অবস্থান করেন। এরপর স্থান পরিবর্তন করে ঢাকার দিকে আসছিলেন। র্যাব-১০ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তার অবস্থান জানতে পেরে তাকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
