বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯
মহামারীতে
১২
মিলিয়ন
লোকের
বেশি
আক্রান্ত
হওয়া
এবং
মৃতের
সংখ্যা
৫
লাখ
৪৮
হাজার
ছাড়িয়ে
যাওয়ার
পরিপ্রেক্ষিতে
একটি
কার্যকর
টিকা
উদ্ভাবনের
প্রতিযোগিতা
ত্বরান্বিত
হয়েছে
এবং
কাজটি
শুরু
হয়েছে
সার্স
কভ-২
ভাইরাসটি
একটি
মরণঘাতী
ভাইরাস
হিসেবে
প্রথম
চিহ্নিত
হওয়ার
পর
থেকে।
টিকা
উদ্ভাবনে
‘প্রথম’
হওয়া
থেকে
রাজনৈতিকভাবে
ফায়দা
হাসিলের
প্রত্যাশায়
নভেম্বরে
জাতীয়
নির্বাচনের
পর
জানুয়ারি
নাগাদ
যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্পের
অপারেশন
ওয়ার্প
স্পিড
আমেরিকানদের
৩০০
মিলিয়ন
ভ্যাকসিন
ডোজ
দেয়ার
প্রতিশ্রুতি
দিয়েছে।
এর
আগে
ইউরোপীয়
কোম্পানিগুলোর
দিক
থেকে
ভ্যাকসিনের
একক
নিয়ন্ত্রণ
নিতে
ট্রাম্প
প্রশাসনের
কয়েকটি
প্রচেষ্টা
ব্যর্থ
হয়।
বিশ্বজুড়ে ১৮০টির
বেশি
সম্ভাবনাময়
ভ্যাকসিন
উন্নয়ন
প্রচেষ্টা
চলমান।
কিন্তু
৮-১০টি
ভ্যাকসিনের
মানবনিরীক্ষা
চলছে।
তার
মধ্যে
পাঁচটিই
চীনের।
সরকারের
অর্থায়িত
একটি
ভ্যাকসিনের
ব্যাপারে
দেশটি
বেশ
আশাবাদী।
সম্প্রতি
বেইজিংয়ের
সিনোভ্যাক
ব্রাজিলের
সঙ্গে
যৌথভাবে
উদ্ভাবিত
টিকা
মানবদেহে
তৃতীয়
স্তরের
পরীক্ষার
অনুমতি
পেয়েছে।
ইত্যবসরে
বিশ্বের
অধিকাংশ
দেশে
সেগুলোর
সাশ্রয়ী
প্রবেশ
নিশ্চিত
হবে
কিনা,
সেটিই
প্রাথমিক
উদ্বেগ
হয়ে
দাঁড়িয়েছে।
একযোগে মহামারী মোকাবেলা
৬৫
বছর
আগে
জোনাস
সাল্ক
জোর
প্রচেষ্টা
চালিয়েছেন
তার
আবিষ্কৃত
পোলিও
টিকা
যেন
পেটেন্টমুক্ত
থাকে।
তাকে
জিজ্ঞাসা
করা
হয়েছিল,
এ
টিকার
মেধাস্বত্বের
মালিক
কে
হবে?
তিনি
প্রত্যুত্তরে
বলেছিলেন,
‘আমি
বলব,
এর
মালিক
হবে
জনগণ-মানুষ।
এর
কোনো
পেটেন্ট
নেই,
থাকবে
না।
আমি
যদি
পাল্টা
প্রশ্ন
করি,
আপনি
কি
সূর্যের
কোনো
পেটেন্ট
করতে
পারেন?’
যক্ষ্মা, এইচআইভি,
পোলিও
ও
গুটিবসন্তের
মতো
সংক্রামক
রোগ
নিয়ন্ত্রণে
টিকা
ও
জীবন
বাঁচানো
ওষুধগুলো
বিনা
মূল্যে
বা
সাশ্রয়ী
দামে
সহজলভ্য
করাটা
গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা
রেখে
এসেছে।
মোট
সংক্রমিতদের
মধ্যে
গুটিবসন্তে
মৃত্যুহার
ছিল
৩০
শতাংশ
এবং
এটি
বিশ্বে
মোট
অন্ধত্বের
১০
শতাংশের
জন্য
দায়ী
ছিল।
অর্থায়নের একটি
পরিকল্পনা
প্রদানপূর্বক
১৯৫৮
সালে
সোভিয়েত
ইউনিয়ন
বিশ্ব
স্বাস্থ্য
সংস্থাকে
(ডব্লিউএইচও) গুটিবসন্ত
নির্মূলে
আহ্বান
জানিয়েছিল।
অনেকের
কাছে
বিস্ময়
যে
এরই
মধ্যে
হয়ে
ওঠা
ডব্লিউএইচওর
বড়
অর্থদাতা
যুক্তরাষ্ট্রও
এতে
সম্মতি
দেয়।
শীতল
যুদ্ধের
সময়ে
দুই
প্রতিপক্ষের
সফল
যৌথ
সহযোগিতা
কাজটিকে
আরো
সহজ
করে
দিয়েছিল।
এক দশকের
মধ্যে
সম্পূর্ণ
নির্মূলের
প্রত্যাশায়
১৯৬৭
সালে
ডব্লিউএইচওর
প্রচারাভিযান
শুরু
করে
তখন
বিশ্বব্যাপী
গুটি
বসন্তে
আক্রান্ত
ছিল
২
দশমিক
৫
মিলিয়নের
বেশি
মানুষ।
অবশ্য
বিশ্ব
স্বাস্থ্য
সংস্থার
অনুমোদন
দেয়া
অকিঞ্চিত্কর
বাজেট
দিয়ে
এমনকি
টিকার
জন্য
প্রয়োজনীয়
পুরো
অর্থ
জোগানো
যায়নি।
এ
সত্ত্বেও
গুটিবসন্ত
বিশ্বব্যাপী
নির্মূল
হয়।
শীতল যুদ্ধের
দুই
প্রতিপক্ষ
দেশসহ
অন্য
উন্নত
দেশের
দান
করা
টিকা
দিয়ে
উন্নয়নশীল
দেশগুলোয়
টিকাদান
কর্মসূচি
শুরু
হয়েছিল।
বহির্বিশ্ব
থেকে
উদার
কারিগরি
সহায়তা
নিয়ে
উন্নয়ন
দেশগুলো
দ্রুত
টিকা
উৎপাদন
শুরু
করেছিল
এবং
টিকাদান
সক্ষমতা
বাড়িয়েছিল।
একটি জনগণের টিকা?
গত
১৮
মে
ওয়ার্ল্ড
হেলথ
অ্যাসেম্বলি
শুরু
হওয়ার
আগে
সরকারগুলোকে
কভিড-১৯-এর
বিরুদ্ধে
একটি
জনগণের
টিকার
প্রতিশ্রুতি,
প্রতিটি
দেশে
এ-সংক্রান্ত
সব
ধরনের
চিকিৎসা
ও
টেস্ট
পেটেন্টমুক্ত
রাখা,
সবখানে
সেগুলোর
সুষম
বণ্টন
ও
সহজলভ্য
করার
আহ্বান
জানিয়ে
১৪০
জনেরও
বেশি
বিশ্বনেতা
ও
বিশেষজ্ঞরা
একটি
ওপেন
লেটারে
সই
করেছিলেন।
ইতালি, ফ্রান্স,
জার্মানি,
নরওয়ে,
ইউরোপীয়
কমিশন
ও
কাউন্সিলের
নেতারা
প্রত্যয়
ব্যক্ত
করেছেন
যে
‘একুশ
শতকের
বৈশ্বিক
জনকল্যাণের
অংশ
হিসেবে
টিকাটি
বিশ্ব
দ্বারা
উৎপাদিত
হবে,
পুরো
বিশ্বের
মানুষের
জন্য
সুষমভাবে
ব্যবহার
হবে।’
চীনের
প্রেসিডেন্ট
শি
জিনপিং
প্রতিশ্রুতি
দিয়েছেন
চীনে
উন্নয়ন
করা
টিকা
হবে
বিশ্বের
জনকল্যাণের
জন্য’।
উন্নয়নশীল
দেশগুলোয়ও
এর
প্রবেশগম্যতা
ও
সহজলভ্যতা
থাকবে।
ফরাসি
প্রেসিডেন্ট
মাখোঁও
একই
ধরনের
অঙ্গীকার
ব্যক্ত
করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিবও
জোর
দিয়েছেন
যে
যখন
উদ্ভাবিত
হবে-পাওয়া
যাবে
তখন
টিকাটিকে
প্রত্যেকের
জন্য
অবশ্যই
অভিগম্য
করতে
হবে।
ডব্লিউএইচএ
মতদ্বৈধহীনভাবে
স্বীকার
করেছে
যে
টিকা,
চিকিৎসা
ও
পরীক্ষা
হলো
বৈশ্বিক
গণপণ্য,
তবে
এ
ঘোষণায়
প্রয়োগে
অস্পষ্টতা
ও
অনিশ্চয়তা
ছিল।
এদিকে জনস্বাস্থ্যের
স্বার্থে
পেটেন্ট
অগ্রাহ্য
করা
থেকে
নিজেকে
বিযুক্ত
করে
যুক্তরাষ্ট্র
অভিযোগ
করেছে
যে
এটি
‘উদ্ভাবকদের
ভুল
বার্তা’
দেবে। জনসন
অ্যান্ড
জনসন
এবং
ফরাসি
বৃহৎ
ওষুধ
কোম্পানি
সানোফি
উভয়েরই
চিকিৎসা
ও
ওষুধ
উন্নয়নে
যুক্তরাষ্ট্র
সরকারের
সঙ্গে
চুক্তি
আছে,
তবে
মার্কিন
স্বাস্থ্থ্য
ও
মানবসেবামন্ত্রী
সেগুলো
সামর্থযোগ্য-সাশ্রয়ী
হবে
কিনা,
সে
বিষয়ে
নিশ্চয়তা
দিতে
অস্বীকার
করেছেন।
এদিকে কভিড-১৯-এর
বিরুদ্ধে
সহযোগিতা
বৃদ্ধিতে
যুক্তরাষ্ট্র
২৪
এপ্রিল
ওয়ার্ল্ড
লিডারস
প্লেজে
অংশগ্রহণ
করেনি।
তাছাড়া
টিকা
ও
চিকিৎসা,
ওষুধ
সহজলভ্য
করতে
৮
বিলিয়ন
মার্কিন
ডলার
খরচ
করার
বিশ্বনেতা
ও
সংস্থাগুলোর
৪
মের
প্রতিশ্রুতিও
উপেক্ষা
করেছে।
মহামারী নয়,
চীনকে নিয়ন্ত্রণ
দুর্ভাগ্যজনকভাবে
শীতল
যুদ্ধ
শেষ
হওয়ার
তিন
দশক
পর
রাজনীতি
ও
মুনাফার
কারণে
প্রাসঙ্গিকতা/কনটেক্সট
এখন
খুব
ভিন্নতর।
ট্রাম্পের
‘আমেরিকা
সর্বাগ্রে’
নীতির
প্রশাসন
এবং
চীনকে
নিয়ন্ত্রণে
রাখতে
আগ্রহী
কিছু
প্রধান
মিত্র
ভয়
পাচ্ছে
যে
কভিড-১৯
সংকট
চীনের
দ্রুত
বেড়ে
চলা
অবস্থানকে
সংহত
এবং
চাঙ্গা
করেছে।
এপ্রিল থেকে
যুক্তরাষ্ট্র
এবং
তার
মিত্ররা
‘চীনা
ভাইরাসের’
কারণে
মহামারী
সৃষ্টির
জন্য
চীনকে
দোষ
দিয়ে
আসছে।
২৭
এপ্রিল
ট্রাম্প
বিশ্বব্যাপী
ক্ষতির
জন্য
চীনের
বিরুদ্ধে
কয়েক
বিলিয়ন
ডলারের
ক্ষতিপূরণমূলক
পদক্ষেপ
গ্রহণের
হুমকি
দিয়েছিল।
তিনি
দাবি
করেছেন,
চীন
মহামারী
উৎস
দমন
করতে
পারত,
কিন্তু
দেশটি
তা
করেনি
বা
পারেনি।
কোনো ধরনের
সাক্ষ্যপ্রমাণ
না
দিয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মাইক
পম্পেও
অভিযোগ
করেছেন
যে
‘চীন-সংশ্লিষ্ট’
হ্যাকাররা
কভিড-১৯
টিকা,
ওষুধ
ও
টেস্টিংয়ের
জন্য
বুদ্ধিবৃত্তিক
সম্পদ
(আইপি) চুরি
করার
চেষ্টা
করছে।
ইত্যবসরে
যুক্তরাষ্ট্রের
কিছু
অঙ্গরাজ্য,
রাজনীতিবিদ
এবং
কোম্পানিও
ক্ষতির
জন্য
চীনের
বিরুদ্ধে
মামলা
করেছে।
এসব প্রচেষ্টার
সবই
ডব্লিউএইচওকে
অবমূল্যায়ন
করেছে,
এখন
সংস্থাটিকে
চীনের
পুতুল
হিসেবে
চিত্রিত
করা
হয়েছে।
মহাসচিবের
কাছে
পোটাসের
লেখা
কঠোর
চিঠিতে
৩০
দিনের
মধ্যে
‘লক্ষণীয়’
অথচ
অনির্দিষ্ট
‘উন্নয়নের’
দাবি
জানানো
হয়েছে।
নইলে
এরই
মধ্যে
স্থগিত
করা
মার্কিন
অর্থায়ন
চিরতরে
বন্ধ
করা
এবং
সংস্থাটি
থেকে
একযোগে
চলে
আসার
হুমকি
দিয়েছে।
সম্প্রতি
৭
জুলাই
ট্রাম্প
প্রশাসন
২০২১
সালের
জুলাইয়ে
বিশ্ব
স্বাস্থ্য
সংস্থা
সম্পূর্ণভাবে
ত্যাগ
করার
সিদ্ধান্ত
জানিয়ে
সংস্থাটিকে
চিঠি
দিয়েছে।
‘আমেরিকা সর্বাগ্রে’ নীতি বনাম
বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য
পরবর্তী
নির্বাচনের
মাত্র
অর্ধবছরের
চেয়ে
কম
সময়ের
পরিপ্রেক্ষিতে
ট্রাম্পের
সাম্প্রতিক
বয়ান
ও
নীতিগুলো
মনে
হয়
সম্ভবত
তার
পুনর্নির্বাচনের
সম্ভাবনা
ঘিরে
আবির্ভূত
হচ্ছে।
তবে
প্রাদুর্ভাব
মোকাবেলার
প্রশ্নে
তিনি
মনে
হয়
কিছুটা
হোঁচট
খাচ্ছেন।
বিস্ময়ের নয়
যে
কভিড-১৯-এর
একটি
কার্যকর
টিকার
ওপর
মার্কিন
নিয়ন্ত্রণ
বিষয়ে
আন্তর্জাতিক
উদ্বেগ
সৃষ্টি
হয়েছে।
জার্মান
এক
সাপ্তাহিক
পত্রিকায়
প্রকাশিত
সংশ্লিষ্ট
প্রতিবেদন
অনুযায়ী,
ট্রাম্প
জার্মান
বায়োটেক
কোম্পানি
কিউর
ভ্যাককে
প্রায়
১
বিলিয়ন
ডলার
প্রদানের
প্রস্তাব
দিয়েছে,
প্রতিষ্ঠানটি
যে
টিকাটি
উন্নয়ন
করছে,
সেটিতে
যেন
যুক্তরাষ্ট্র
নিরঙ্কুশ
প্রবেশাধিকার
পায়।
ফরাসি সরকার
কয়েকশ
মিলিয়ন
ইউরো
সহায়তা
জোগানো
সত্ত্বেও
গত
১৩
মে
সানোফির
প্রধান
নির্বাহী
ঘোষণা
করেছিলেন,
যুক্তরাষ্ট্র
সরকারেরই
প্রতিষ্ঠানটির
উন্নয়নকৃত
টিকার
সবচেয়ে
বড়
প্রি-অর্ডারের
অধিকার
রয়েছে,
যেহেতু
তারা
ঝুঁকি
নিয়ে
বিনিয়োগ
করেছে।
তবে
সম্প্রতি
তড়িঘড়ি
সানোফি
ওই
ঘোষণা
থেকে
সরে
এসেছে।
কারণ
ফরাসি
প্রধানমন্ত্রী
জোর
দিয়ে
বলেছেন
যে
সবার
জন্য
টিকার
প্রবেশাধিকারের
বিষয়টি
‘অনালোচনাযোগ্য’।
মুনাফা বনাম
জনস্বার্থ
বিপুল
ব্যয়
ও
বিভিন্ন
ধরনের
বিশেষায়িত
জ্ঞানের
কারণে
কেবল
গুটি
কয়েক
বড়
কোম্পানিই
টিকা
উন্নয়ন
করতে
এবং
শুরু
থেকে
শেষ
পর্যন্ত
উৎপাদন
করতে
সক্ষম।
ঐতিহাসিকভাবে
অধিকাংশ
টিকাই
উত্তর
গোলার্ধে
উন্নয়ন
হয়েছে,
প্রায়
ক্ষেত্রে
সেটি
দক্ষিণ
গোলার্ধে
পৌঁছেছে
অনেক
পরে।
২০০৯ সালে
সোয়াইন
ফ্লু
মহামারীর
সময়
কিছু
উন্নত
দেশের
সরকার
এইচওয়ানএনওয়ান
সোয়াইন
ফ্লু
ভ্যাকসিনের
নিয়ন্ত্রণ
নিতে
বড়
বড়
ওষুধ
কোম্পানির
সঙ্গে
চুক্তি
করেছিল।
২০১৭
সালে
একটি
সম্ভাবনাময়
জিকা
ভ্যাকসিন
উন্নয়নের
পর
মার্কিন
সেনাবাহিনী
সানোফির
কাছে
উৎপাদন
অধিকার
অর্পণ
করেছিল,
তবে
মার্কিন
নজরদারি
সংস্থা
ও
সিনেটর
বার্নি
স্যান্ডারস
কর্তৃক
লাভ
বিনিময়ের
অভিযোগ
ওঠায়
আলোচ্য
চুক্তি
মুখ
থুবড়ে
পড়েছিল।
পেটেন্ট ব্যবস্থার
সম্প্রসারিত
একচেটিয়া
উপভোগ
সত্ত্বেও
জনস্বাস্থ্যের
বিনিময়ে
লোভনীয়
মুনাফার
বিপরীতে
সীমাবদ্ধ
সম্ভাবনাগুলোর
কারণে
উন্নয়নশীলগুলোকে
সাধারণত
সাশ্রয়ী
ওষুধ
ও
টিকা
উন্নয়নে
বিনিয়োগের
বিষয়টিতে
নিরুৎসাহিত
করেছে।
কী করা যেতে
পারে
গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন
ও
সানোফির
মতো
কিছু
বড়
ওষুধ
কোম্পানির
দাবি
হলো,
তারা
কভিড-১৯
টিকা
থেকে
মুনাফা
আশা
করে
না।
তবে
তাদের
এ
ধরনের
প্রতিশ্রুতি
বিশ্বাসযোগ্য
নয়।
কারণ
তাদের
অতীত
রেকর্ড
বলে
যে
ওষুধ
গবেষণা
ও
টিকা
উন্নয়ন
দীর্ঘদিন
ধরে
ব্যাপকতর
মুনাফার
সম্ভাবনা
দ্বারা
চালিত
হয়ে
এসেছে।
অবশ্য যতক্ষণ
কভিড-১৯
মহামারী
শেষ
না
হচ্ছে,
অন্তত
ততক্ষণ
এসব
প্রতিষ্ঠান
তাদের
বুদ্ধিবৃত্তিক
অধিকার
(আইপিআর) স্বেচ্ছায়
বর্জনের
জন্য
ওপেন
কভিড
প্লেজ
তৈরির
আহ্বান
জানিয়েছে।
তবে
অক্সফাম
শঙ্কা
প্রকাশ
করে
যে
এটা
যথেষ্ট
না-ও
হতে
পারে।
যেহেতু
বড়
ওষুধ
কোম্পানিগুলো
দীর্ঘকাল
ব্যাপক
সরকারি
ভর্তুকি
উপভোগ
করেছে,
সেহেতু
সংস্থাটি
মনে
করে
এক্ষেত্রে
জাতীয়
কর্তৃপক্ষগুলো
প্রতিশ্রুতিটি
কার্যকর
করতে
পারে।
ডব্লিউটিওর নীতির
নিরিখে
সরকারগুলো
‘কম্পালসরি
লাইসেন্সিং’ও
ব্যবহার
করতে
পারে,
যাতে
আইপিআর
না
থাকা
কোম্পানিগুলো
অত্যাবশ্যকীয়
ওষুধ
উৎপাদন
করতে
পারে
এবং
কেবল
জাতীয়
পর্যায়ে
বিতরণের
জন্য
পেটেন্টকৃত
ওষুধের
জেনেরিক
ভার্সন
বিক্রি
করতে
পারে;
যেমনটা
এভিয়ান
ফ্লু
হুমকি
মোকাবেলায়
দেড়
দশক
আগে
বুশ
প্রশাসন
টামি
ফ্লুর
সঙ্গে
করেছিল।
ড. আনিস চৌধুরী: অ্যাডজাংক্ট
প্রফেসর,
ওয়েস্টার্ন
সিডনি
ইউনিভার্সিটি
ও
ইউনিভার্সিটি
অব
নিউ
সাউথ
ওয়েলস
(অস্ট্রেলিয়া), নিউইয়র্ক
ও
ব্যাংককে
জাতিসংঘের
সাবেক
ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তা
ড. জোমো কোয়ামে সুন্দরম:
অর্থনীতির
সাবেক
অধ্যাপক
ও
জাতিসংঘের
ইকোনমিক
ডেভেলমেন্টে
বিভাগের
সাবেক
অ্যাসিস্ট্যান্ট
সেক্রেটারি
জেনারেল