সংক্রমণ শুরুর মাত্র ছয় মাসের মধ্যে গোটা পৃথিবীকে ওলটপালট করে দিয়েছে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। মহামারীর ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশও। দেশে এরই মধ্যে ভাইরাসটিতে সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা দেড় লাখের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েকদিনের দৈনিক সংক্রমণ শনাক্তের গতি অব্যাহত থাকলে আজই তা দেড় লাখ পেরিয়ে যেতে পারে।
কভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাব প্রথম দেখা দেয় চীনে। পরবর্তী সময়ে এ প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে। ছয় মাসের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা কোটি ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী গতকাল রাত ৯টায় হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে কভিড-১৯-এ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন ১ কোটি ৫ লাখেরও বেশি। এছাড়া বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃতের সংখ্যাও এখন ৫ লাখ ১২ হাজারের বেশি।
বাংলাদেশেও করোনার বিস্তার বেড়েই চলেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭৭৫ জন। মোট ১৭ হাজার ৮৭৫টি নমুনা পরীক্ষা এসব সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়। এ নিয়ে দেশে কভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৫৮।
দীর্ঘায়িত হয়ে চলেছে করোনা রোগীদের মৃত্যুর মিছিল। বুলেটিনে জানানো হয়, এ ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৪১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছে। এ নিয়ে দেশে নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর নিশ্চিতকৃত সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৮৮৮।
গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বুলেটিনে জানানো হয়, মৃত ৪১ জনের মধ্যে পুরুষ ও নারী যথাক্রমে ৩৮ ও তিনজন। বয়সভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, এ ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৩১-৪০ বছর বয়সসীমার মধ্যে চারজন, ৪১-৫০ বছরের পাঁচ, ৫১-৬০ বছরের ১২, ৬১-৭০ বছরের ১১, ৭১-৮০ বছরের সাত এবং ৮১-৯০ বছরের এক ও ৯১-১০০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন রয়েছেন।
মৃত এ ৪১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা রয়েছেন ১৩ জন। চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা ১৭ জন। এছাড়া খুলনা বিভাগের পাঁচ, বরিশালের তিন, সিলেটের দুই ও রংপুর বিভাগের একজন এ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাড়িতে থেকে মারা গিয়েছেন ১৮ জন।