চীন প্রস্থান এবং এ সুযোগ সদ্ব্যবহারে আমাদের প্রস্তুতি

আবু মোখলেছ আলমগীর হোসেন

চীন-আমেরিকা বাণিজ্য বিরোধ এবং কভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট পেনডেমিক বিষয়ে চীনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা নিয়ে (?) উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য আমেরিকা ও তার মিত্র রাষ্ট্রগুলো (ইইউভুক্ত দেশ, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া) চীন থেকে তাদের বিনিয়োগ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াভূক্ত দেশ যেমন- ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ভারত, ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া, তাইওয়ান, বাংলাদেশ এবং উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে স্থানান্তর এর বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। The Economist, Bloomberg, Nikkei Asia Review, Wall Street Journal এর তথ্যানুযায়ী ইতোমধ্যে  যুক্তরাস্ট্রের হার্লে ডেভিডসন (অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রি), হাসব্রো (টয় ইন্ডাস্ট্রি), তাইওয়ান এর মেরি ইলেকট্রনিক্স, ফক্সকন, ডেলটা ইলেকট্রনিক্স, কমপাল ইলেকট্রনিক্স এবং পেগাট্রন, জাপানের ভিডিও গেম তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান নাইনটেনডো এবং ইলেকট্রোনিক্স, সেমি-কনডাকটর এবং হোম এপ্লায়েন্স জায়ান্ট প্যানাসনিক এবং সামস্যাং ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান চীন থেকে তাদের বিনিয়োগ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াভুক্ত দেশগুলোতে স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছে। এ ছাড়াও জাপানি অটো পার্টস তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান মাজদা মোটরস চীনের জিয়াংসু প্রভিন্স হতে মেক্সিকো এবং হোন্ডার যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কাসাই কোগইউ (Kasai Kogyo) উহান হতে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সম্প্রতি ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর) চীনের ৩ হাজার ৮০৫টি পণ্য ক্যাটাগরির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। বর্তমান পরিস্থিতে ট্রাম্প সরকার চীনের সাথে কোন ধরনের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা না করার বিষয়টি বিভিন্ন প্রেস ব্রিফিং এর প্রশ্নোত্তর পর্বেও উল্লেখ করছে। এর ফলে আমেরিকায় চীনে উৎপাদিত পণ্যের রপ্তানির বিরুপ প্রভাব বিবেচনায় অনেক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান চীন থেকে তাদের উৎপাদন ইউনিট বিনিয়োগ বান্ধব দেশ সমূহে স্থানান্তরের পরিকল্পনা করেছে। বিনিয়োগ সাধারণত World Bank এর ব্যবসা বান্ধব সূচকে (Doing Business প্রতিবেদন) একটি দেশের অবস্থান, শ্রমিকের বার্ষিক গড় মজুরির হার এবং উন্নত লজিস্টিকস সুবিধাদির উপর নির্ভরশীল।

ইউএনসিটিএডি (United Nations Conference on Trade and Development) এর ডাটা পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত দশ বছরে (২০০৯-২০১৮) চীনে বৈদেশিক বিনিয়োগ এর প্রবৃদ্ধি  ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে। ২০০৯ সালে যেখানে বিদেশী বিনিয়োগ এর প্রবৃদ্ধি ছিল ২৫ শতাংশ তা  ২০১৮ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১০ শতাংশ। পক্ষান্তরে বার্ষিক মজুরি ২০০৯ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। একজন শ্রমিকের বার্ষিক গড় মজুরি ২০০৯ সালে ছিল ২৩ হাজার চাইনিজ ইউয়ান যা  ২০১৮ সালে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৭০ হাজার আরএমবি ( সূত্র- চায়না ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিক্স)। জেট্রো (জাপান এক্সটার্নাল  ট্রেড অর্গানাইজেশন) এর ২০১৮ সালের বিভিন্ন দেশের শ্রমিকের বার্ষিক গড় আয়ের জরিপের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক বিনিয়োগ বান্ধব দেশের শ্রমিকের বার্ষিক গড় আয় চীনের চেয়ে কম। তন্মধ্যে মঙ্গোলিয়া এবং বাংলাদেশের শ্রমিকের বার্ষিক গড় আয় সবচেয়ে কম। বিনিয়োগের জন্য শ্রমিকের মজুরির বিষয়টি একটি অন্যতম বিবেচ্য বিষয়। জেট্রো বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি আকর্ষণীয় এবং বিনিয়োগ বান্ধব হিসেবে উল্লেখ করেছে যা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক।

বিশ্ব ব্যাংকের বিশ্ব ব্যবসা বান্ধব সূচকে (ডুয়িং বিজনেস প্রতিবেদন-২০২০) চীনের অবস্থান ১৯০টি দেশের মধ্যে ৩১তম। বিনিয়োগ বান্ধব এবং উৎপাদনশীলতা বিবেচনায় চীন এখনও বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি আকর্ষণীয় উর্বর স্থান। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকার সাথে চীনের বাণিজ্য বিরোধ, সরবরাহ নেটওয়ার্ক এর বিঘ্নতা এবং অন্যান্য বিষয়ে মতানৈক্যের কারনে আমেরিকার বাজারে চীনের উৎপাদিত পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে বড় ধরনের শুল্ক আরোপ করায় চীনে বিনিয়োগকারী আমেরিকা, জাপান, কোরিয়া এবং ইউরোপিয়ান দেশ সমূহের প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে চীন থেকে তাদের উৎপাদন ইউনিট (Production Relocation) সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইতোমধ্যে ভিয়েতনাম (ব্যবসা বান্ধব সূচকে অবস্থান ৭০), ইন্দোনেশিয়া (ব্যবসা বান্ধব সূচকে অবস্থান ৭৩) এবং ভারত (ব্যবসা বান্ধব সূচকে অবস্থান ৬৩) এ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের কৌশলগত পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ নিয়েছে।

চীন হতে বেড়িয়ে আসা প্রতিষ্ঠানসমূহের বিনিয়োগ আকৃষ্টকরনের ক্ষেত্রে ভিযেতনাম অত্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। চীনের নিকটস্থ দেশ এবং বিশ্বের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান উক্ত দেশটিতে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিধায় এ পরিস্থিতিতে দেশটি সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের প্রথম পছন্দ। এ ছাড়া কভিড-১৯ এর সংক্রমণ অত্যন্ত সফলতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করায় বিনিয়োগ বান্ধব ভিয়েতনাম বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস অর্জন করেছে।

ভারত সরকার চীন –আমেরিকার এ বাণিজ্য বিরোধকে কাজে লাগানোর প্রয়াসে লুক্সেমবার্গ এর আয়তনের দ্বিগুণ জমি বিদেশী বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ রেখেছে। এ উদ্দেশ্যে আমেরিকাস্থ তাদের দূতাবাস-কে ব্যবহার করে এক হাজারেরও অধিক আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে চীন থেকে তাদের উৎপাদন ইউনিট ভারতে  স্থানান্তর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ প্রস্তাব করেছে। আমেরিকা এবং জাপানের মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট, টেক্সটাইল, কৃষি এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাত, চামড়াজাত এবং অটো পার্টস খাতভূক্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের বিনিয়োগ ভারতে আনার বিষয়ে   চিহ্নিত করেছে। ভারত বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণের লক্ষে তাদের ভূমি, শ্রম এবং কর খাতকে  সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া সম্ভাব্য আমেরিকান বিনিয়োগকারীদের নিকট কর এবং শ্রম বিধি আরও অনূকুল করার জন্য এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা প্রণয়ণপূর্বক বাণিজ্য মন্ত্রলাণয় তাদের মতামতের জন্য প্রেরণ করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীন থেকে আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ইউনিট ইন্দোনেশিয়ায় নেয়ার বিষয়ে ইতোমধ্যে ইন্দোনেশিয়ান প্রেসিডেন্ট জোকো উইডুডু (Joko Widodo) কে প্রস্তাব করেছে। বিনিয়োগ প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য ইন্দোনেশিয়ান সরকার সেন্ট্রাল জাভায় ৪ হাজার হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট বিশেষ অর্থনৈতিক জোন প্রস্তুত করছে।

থাইল্যান্ড (ব্যবসা বান্ধব সূচকে অবস্থান ২১), মালয়েশিয়া (ব্যবসা বান্ধব সূচকে অবস্থান -১২), মিয়ানমার (ব্যবসা বান্ধব সূচকে অবস্থান ১৬৫), কম্বোডিয়া (ব্যবসা বান্ধব সূচকে অবস্থান ১৪৪), লাওস (ব্যবসা বান্ধব সূচকে অবস্থান ১৫৪), শ্রীলংকা (ব্যবসা বান্ধব সূচকে অবস্থান ৯৯), পাকিস্থান (ব্যবসা বান্ধব সূচকে অবস্থান ১০৮) প্রভৃতি দেশসমূহ এ সুযোগ গ্রহণের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে এবং বিভিন্ন ধরনের ইনসেনটিভ প্রস্তাব প্রদান করছে।

বিশ্ব ব্যাংকের বিশ্ব ব্যবসা বান্ধব সূচকে (ডুয়িং বিজনেস প্রতিবেদন-২০২০) বাংলাদেশের অবস্থান গত বছরের চেয়ে আট ধাপ উন্নতি হয়ে ১৯০টি দেশের মধ্যে ১৬৮তম অবস্থানে রয়েছে। বিদেশী বিনিয়োগ  আকর্ষণের ক্ষেত্রে তা খুব একটা সুখকর চিত্র নয়। তবে বাংলাদেশ ব্যবসা বান্ধব সূচকের তিনটি প্যারামিটারে উন্নতি করেছে। ব্যবসা আরম্ভ, বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়া এবং ক্রেডিট তথ্য প্রাপ্তি এ তিনটি প্যারামিটারে বেশ সংস্কার করেছে। বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য অন্যান্য ৯টি প্যারামিটারে সংস্কারকার্য গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন যার গুরুত্ব অনুধাবন করে সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

ব্যবসা বান্ধব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১০০ এর মধ্যে আনয়নের উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত দুটি সংস্থা বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ ইকোনমিক জোনস অথরিটি (বেজা) বেশ কিছু কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ব্যবসা বান্ধব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়ন, বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে নির্বিঘ্ন সেবা নিশ্চিতকরণের জন্য জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ ইকোনমিকস জোনস অথরিটি (বেজা) ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) সেন্টার এর প্রবর্তন করেছে যা বিনিযোগ বান্ধব বাংলাদেশ প্রবর্তনে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বাংলাদেশ সরকার এ ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) সেবা বাস্তবায়নের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ) বিধিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করেছে। বেজা বর্তমানে ১৭টি সেবা তাদের অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে এবং অন্যান্য সেবাসমূহ ওএসএস হেল্প ডেক্স এর মাধ্যমে প্রদান করছে। জাপানী বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণের জন্য নারায়ণগঞ্জে এক হাজার একর আয়তন বিশিষ্ট জাপানিজ ইকোনমিক জোন উন্নয়ন করছে যা ২০২২ সালের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে। আমরা চীন-আমেরিকা বাণিজ্যের সুবিধা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু এ পেনডেমিক এর জন্য উদ্ভূত সুযোগকে হারানো মানে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্টকরণের সুবর্ণ সুযোগ হেলায় নষ্ট করা।

কভিড-উত্তর সময় চীন থেকে জাপানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ইউনিট দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সরিয়ে আনার বিষয়ে জাপান সরকার ইতোমধ্যে ২২০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজও ঘোষণা করেছে। ৬৯০টি জাপানী প্রতিষ্ঠান চীনে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। এর মধ্যে ৩৪টি জাপানী প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন ইউনিট বাংলাদেশে স্থানান্তর করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

আগ্রহী জাপানী প্রতিষ্ঠানসমূহকে বাংলাদেশমুখী করার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার জন্য আমাদের ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশের মতো বিভিন্ন প্রণোদণা প্যাকেজ নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কর্তৃক কতিপয় প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রদত্ত বিভিন্ন আর্থিক এবং অ-আর্থিক সুবিধাদির অতিরিক্ত সহজ এবং আকর্ষণীয় প্যাকেজ প্রণোদনা যেমন: ১০০ শতাংশ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের জন্য বিনিয়োগ প্রস্তাব বিবেচনা করে দীর্ঘ মেয়াদী কর অব্যাহতি প্রদান, নতুন এবং ব্যবহৃত মেশিনারি বিনা শুল্কে আমদানির সুযোগ প্রদান, বন্ডেড সুবিধাদি প্রদান, ওয়ান স্টপ সার্ভিস (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ) বিধিমালা-২০১৮ যথাযথভাবে প্রতিপালনসহ প্রস্তাবনা ইনসেনটিভ প্যাকেজ নিয়ে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এবং জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এর সাথে আলোচনাপূর্বক তদানুযায়ী তা বাস্তবায়নের দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় আমাদের প্রতিযোগী দেশসমূহ এ সুযোগকে লুফে নিবে। 

কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) এ প্রবৃদ্ধি ধারা অব্যহত রাখার স্বার্থে চলমান এ পেনডেমিক এর কারণে তৈরি সুযোগকে আমাদের সদ্ব্যবহার করতে হবে।

আবু মোখলেছ আলমগীর হোসেন
উপ-পরিচালক, ইপিবি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন