যমুনায় নৌকাডুবির ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

এখনো নিখোঁজ ৩০

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে যমুনা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় তিন বছরের এক শিশুসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৩০ জন। মঙ্গলবার দুপুরে ঈদুল ফিতরের পরদিন যমুনার স্থলচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে তাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে, এরা হলেন, পাষাণ আলী ও শেখ কামাল। পাষাণ আলীর (৬৫) বাড়ি বেলকুচি উপজেলার গয়নাকান্দি গ্রামে, শেখ কামালের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার সুবর্ণতলী গ্রামে। অপর শিশুটির পরিচয় এখনো জানা যায়নি। শিশুটির মা-বাবাও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।

এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মাসুদ পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এনায়েতপুর থেকে ৮০-৯০ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি চৌহালীর দিকে যাওয়ার পথে স্থলচর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক শিশু ও এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয় পরে শেখ কামালের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

দুর্ঘটনা কবলিত নৌকার ৩৫-৪০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে স্থলচর বাজারে রাখা হয়েছে বলেও জানানা এই পুলিশ কর্মকর্তা। যাত্রীদের বেশিরভাগই ধান কাটার শ্রমিক। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন।

স্থল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুন নূর জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে এনায়েতপুর থানার অদুরের ঘাট থেকে জেলার চৌহালী উপজেলা সদরের দিকে যাত্রী পরিবহনকারী শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকাটি ছেড়ে যায়। নৌকাটিতে ধান কাটার শ্রমিক ছিল বেশী। শ্রমিকরা টাঙ্গাইলের করটিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল। দুপুর প্রায় ২টার দিকে যমুনার স্থল নামক স্থানে নৌকাটি প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে। এতে নৌকাটি ডুবে তিনজন মারা যান। নৌকার মাঝি ইব্রাহীম হোসেন সাঁতরে উঠতে সক্ষম হলেও নারী ও পুরুষসহ কমপক্ষে ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

শাহজাদপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মঞ্জুরুল আলম বলেন, আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি। এছাড়াও নিখোঁজদের উদ্ধার অভিযান জোরদার করতে রাজশাহী থেকে ডুবুরি দল আনা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন