জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল চুরির অভিযোগ করায় ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এক সাংবাদিককে নির্যাতন এবং নির্যাতনের চিত্র ফেসবুকে লাইভ করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলে নাবিল হায়দার।
আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা সড়ক এলাকার বাসা থেকে অভিযুক্ত নাবিলকে গ্রেফতার করা হয়। লালমোহন সার্কেলের এডিশনাল পুলিশ সুপার রাসেলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত নাবিল হায়দার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন হায়দারের ছেলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাবিল এসএম হলের আবাসিক ছাত্র এবং ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে উপজেলা সদরের রাজমনি সিনেমা হলের সামনে নির্যাতনের এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বড় মানিকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে জেলেদের জন্য আসা চাল চুরির অভিযোগ করেছিলেন ওই সাংবাদিক। এ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সাংবাদিককে মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারী অপবাদ দিয়ে পেটানো হয়। পরে নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্যাতনকারীর বিচারের দাবি ওঠে।
এ ঘটনায় গতকাল রাতেই সাগর চৌধুরী বাদী হয়ে নাবিল হায়দারকে এক নম্বর এবং অজ্ঞাত পাঁচ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
আহত সাগর চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘বড় মানিকা ইউনিয়নের সরকারি নিবন্ধিত জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত চাল ৪০ কেজি করে বিতরণের কথা থাকলেও ওই ইউনিয়নে দেয়া হয় সবোর্চ্চ ২০ কেজি করে। এ ঘটনা আমি বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. বশির গাজীকে জানাই। এছাড়া রাতের আঁধারে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাল অন্য স্থানে সরিয়ে নেয়ার সময় আমি ছবি তুলি।’
এতেই ক্ষিপ্ত হন চেয়ারম্যানের ছোট ছেলে নাবিল। সাংবাদিক সাগর বলেন, মঙ্গলবার সকালে আমাকে ফোন করে জরুরি কথা বলার জন্য রাজমনি সিনেমা হলের সামনে আসতে বলে। আমি গেলেই সে আমার জামার কলার ধরে মারধর শুরু করে। আমি নাকি তার মোবাইল ফোন চুরি করার চেষ্টা করেছি এটা বলে আরও মারধর করে। আমাকে মারধর করা অবস্থায় চোর বলে ফেসবুকে সে লাইভ করে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে। পরে আমার পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় ভোলা সদর হাসপাতলে আমাকে ভর্তি করা হয়।