দিনাজপুর ও পাবনায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছে।
গত
বুধবার গভীর রাতে বন্দুকযুদ্ধের এসব ঘটনা ঘটে।
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
দিনাজপুর: জেলার নবাবগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে দুই ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে।
এ
ঘটনায় ওসিসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আহত পুলিশ সদস্যদের দিনাজপুর পুলিশ লাইন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল ভোর ৪টার দিকে উপজেলার ছোট মাগুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে ওয়াজেদ আলী (২৮) এবং গাইবান্ধা জেলার সাদুল্যাপুরের
মোহাম্মাদ আলীর ছেলে রফিক আলী (৩০)।
বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিথুন সরকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবাবগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে ওয়াজেদ আলী ও রফিক আলী নামের দুই ডাকাতকে আটক করে।
পরে আটককৃতদের নিয়ে ডাকাত দলের অন্য সদস্যদের আটক করতে গতকাল ভোরে মাগুড়া গ্রামে যায়।
সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ডাকাত দল পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে রফিক ও ওয়াজেদকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
তাদের উপস্থিতিতে গ্রেফতারকৃত দুই ডাকাতও ছোটাছুটি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে।
এ
সময় পুলিশ ও ডাকাত দলের গোলাগুলিতে দুই ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়।
পরে পুলিশ গুলিবিদ্ধ ওয়াজেদ আলী ও ওয়াজেদ আলীকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
পাবনা: জেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হাব্বান মণ্ডল (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
গতকাল গভীর রাতে সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর শিবরামপুর স্লুইচ গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত হাব্বান সদর উপজেলার দক্ষিণ রামচন্দ্রপুর মণ্ডলপাড়া গ্রামের মৃত হায়দার আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, নিহত হাব্বান একজন সশস্ত্র সস্ত্রাসী এবং মাদক ব্যবসায়ী।
তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য, হত্যা জখমসহ ১২টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে।
পাবনার পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
