কয়েক মাস টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর নভেম্বরে ফের চীনের কয়লা আমদানি কমেছে। সম্প্রতি বন্দরগুলোতে আমদানি বিধিনিষেধ জোরদার করেছে দেশটির সরকার। ফলে এ সময়ে আগের মাসের তুলনায় দেশটির কয়লা আমদানি ১৯ শতাংশ কমেছে। চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের (জিএসিসি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স।
জিএসিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত নভেম্বরে চীন আন্তর্জাতিক বাজার থেকে মোট ২ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার টন কয়লা আমদানি করেছে। যেখানে এর আগের মাসে জ্বালানি পণ্যটির আমদানির পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার টন। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে আমদানি কমেছে ৪৯ লাখ ১০ হাজার টন। তবে এ সময়ে আগের বছরের তুলনায় জ্বালানিটির আমদানি বেড়েছে। আগের বছরের নভেম্বরে দেশটির কয়লা আমদানি দাঁড়িয়েছিল ১ কোটি ৯১ লাখ ৫০ হাজার টনে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে চীনের কয়লা আমদানি বেড়েছে ১৬ লাখ ৩০ হাজার টন।
দেশটির কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, অক্টোবরের শেষের দিকে পূর্ব চিনের গুয়াংডং, চিয়াংসু ও শ্যানডং প্রদেশের কয়েকটি বন্দরের শুল্ক কর্মকর্তরা কয়লা বহনকারী জাহাজের ছাড়পত্র প্রদান বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে জ্বালানিটি আমদানি কমিয়ে আনতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
চীন বিশ্বের শীর্ষ কয়লা আমদানিকারক দেশ। গত বছর চীন আন্তর্জাতিক বাজার থেকে মোট ২৮ কোটি ১২ লাখ টন কয়লা আমদানি করেছিল। এদিকে চলতি বছরের প্রথম এগারো মাসেই (জানুয়ারি-নভেম্বর) দেশটিতে পণ্যটির আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ কোটি ৯৩ লাখ টন। অর্থাৎ এ বছরের এক মাস বাকি থাকলেই দেশটির কয়লা আমদানি আগের বছরের তুলনায় ১ কোটি ৮১ লাখ টন বেড়েছে।
অন্যদিকে চীনের বাজারে কয়লা সরবরাহে অস্ট্রেলিয়ার পর দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ ইন্দোনেশিয়া। গত মাসে চীনে পণ্যটি আমদানি কমার পেছনে ইন্দোনেশিয়াও প্রভাব ফেলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশটির কয়লা খাতে মুনাফা কমে গেছে। ফলে চীনের বাজারে জ্বালানি পণ্যটি বিক্রির আগ্রহ হারাচ্ছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা।
