চলতি বছর কাশ্মীরের আখরোট উৎপাদনে ধস নেমেছে। তবে এক্ষেত্রে কৃষকদের প্রত্যাশা বাড়াচ্ছে জাফরান। বছর শেষে সব মিলিয়ে ১৬-১৭ টন জাফরান সংগ্রহের প্রত্যাশা করছে কাশ্মীর। এর আগের বছর এ অঞ্চলে পাঁচ-ছয় টন জাফরান উৎপাদন হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের কৃষি বিভাগ সম্প্রতি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর গ্রেইনমার্ট নিউজ।
মূলত কাশ্মীরে এবার জাফরান উৎপাদনে অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে। অক্টোবরের শেষ নাগাদ সংঘটিত বৃষ্টিপাত মূল্যবান মসলা পণ্যটি বপনের উপযুক্ত তাপমাত্রা তৈরি করেছে। এদিকে বপনের পর তাপমাত্রা বাড়ায় কৃষিপণ্যটি দ্রুত বিকাশ লাভ করার সুযোগ পাবে এবং তুষারপাত শুরুর আগেই তা সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। ফলে এবার পণ্যটির ফলন বাড়ার সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে। কাশ্মীরে হেক্টরপ্রতি সাড়ে চার কেজির বেশি জাফরান উৎপাদিত হয়।
তবে মূল্যবান পণ্যটির ফলন বাড়ার সম্ভাবনা সত্ত্বেও কৃষকরা এ থেকে বাড়তি সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়ে সন্দিহান। কারণ এখানে রয়েছে মধ্যস্থতাকারীদের অধিক মুনাফা লাভের আকাঙ্ক্ষা। জাফরান ব্যবসায়ী ও মধ্যস্থতাকারীরা যে পরিমাণ লাভ করেন, উৎপাদনকারীরা ততটা পান না।
কৃষি বিভাগের পরিচালক সৈয়দ আলতাফ আইজাজ আন্দ্রাবি এ বিষয়ে একমত পোষণ করে বলেন, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি কাশ্মীরি জাফরানের মূল্য ৫ লাখ রুপি। অথচ কৃষকরা তা ১ দশমিক ৩ লাখ থেকে ৩ লাখ রুপির মধ্যে বিক্রি করে থাকেন। ফলে উৎপাদন বাড়লেও বাণিজ্য থেকে দূরে থাকায় তারা পর্যাপ্ত দাম পাচ্ছেন না।
এদিকে খরা, ব্যাপক বন্যা ও অপ্রত্যাশিত বৃষ্টিপাতে দুই বছর ধরে কাশ্মীরে জাফরানের ফলন কমছে। এতে কৃষকরা অন্য ফসল আবাদে বাধ্য হচ্ছেন, যা দিন দিন এ অঞ্চলে পণ্যটির আবাদি জমির পরিমাণ কমিয়ে আনছে।
