বঙ্গবন্ধু বিপিএলে প্রথম জয়ের লক্ষ্যে নামে রংপুর রেঞ্জার্স। বিপর্যয়ের মুখে ব্যাট হাতে রংপুরকে পথ দেখান নাঈম শেখ। তার ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহও পায় দলটি। কিন্তু নাঈমের দুর্দান্ত ব্যাটিং ম্লান ওয়ালটন-ইমরুল নৈপুণ্যে। এ দুজনের কার্যকর ইনিংসে রংপুরকে হারিয়ে দ্বিতীয় জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল ১৫৮ রানের লক্ষ্য ৬ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখেই টপকে যায় চট্টগ্রাম। গতকাল রাতের ম্যাচে সিলেট থান্ডারকে ২৪ রানে হারায় ঢাকা প্লাটুন। মাশরাফি বিন মর্তুজার দলের এটা দ্বিতীয় জয়।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উজ্জ্বল চ্যালেঞ্জার্স ওপেনার চ্যাডউইক ওয়ালটন ও আভিস্কা ফার্নান্দো। এ দুই বিদেশীর হাত ধরে জয়ের ভিতও পেয়ে যায় বন্দরনগরীর দলটি। দলীয় ৬৮ রানের মাথায় এ জুটি ভাঙেন লুইস গ্রেগরি। ২৩ বলে ৩৭ রান করা ফার্নান্দোকে ফেরান তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে প্রথম জয়ের দুই নায়ক ওয়ালটন ও ইমরুল মিলে দলকে এগিয়ে নেন। দলীয় ১০৯ রানে অর্ধশতকে পৌঁছেই আউট ওয়ালটন। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৫০ রান। মোহাম্মদ নবির বলে রিশাদ হোসেনকে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন চোট কাটিয়ে ফেরা মাহমুদউল্লাহ। দল জয়ের পথে থাকায় হয়তো একটু সতর্ক হয়েই ব্যাট চালান তিনি। তবে ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি চট্টগ্রাম দলনায়ক। ১৬ বলে ১৫ রান করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। দল যখন জয়ের সুবাস পাচ্ছে, তখন ফিরে যান নাসির হোসেনও (৩)। ইমরুল অবশ্য দায়িত্ব শেষ করেই মাঠ ছাড়েন। ৩৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
টস জিতে রংপুরকে ব্যাট করতে পাঠায় চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে মাত্র ৬৮ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। দ্বিতীয় ম্যাচে চ্যালেঞ্জ ছিল ভালো কিছু করার। এদিন ব্যাট হাতে শুরুটা একেবারে খারাপ ছিল না। তবে পথ হারাতেও সময় লাগেনি। দলীয় ২৫ রানেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। মোহাম্মদ শাহজাদকে (৯) ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন কেসরিক উইলিয়ামস। দলের রান যখন ৫৮ তখন আউট অ্যাবিল (১০)। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জহুরুল ইসলামও (৬)। দলীয় ৮৮ রানে তাকে ফেরান মাহমুদউল্লাহ। এরপর নবিকে সঙ্গী করে দলকে ১১৭ রানে নিয়ে যান নাঈম। ২১ রান করা নবিকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন উইলিয়ামস। দলকে ১৩৮ রানে রেখে আউট দারুণ
