বাংলাদেশ পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড বিপিসিএল এখন পদক্ষেপ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্লাস্টিক রিসাইক্লিংয়ে তাদের আগ্রহ বাড়াতে এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তাদের অভ্যাসে নতুন পরিবর্তন আনার।
বাংলাদেশ পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি
লিমিটেড ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারোল আর্টস বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে শুরু হলো ‘ক্লিন
ক্যাম্পাস, গ্রিন ক্যাম্পাস’ ক্যাম্পেইন। ‘স্মল চেঞ্জ ইন বিহেভিয়র,
গ্রেট ইমপ্যাক্ট অন প্ল্যানেট’ স্লোগান
ধারণকারী এই ক্যাম্পেইনের মূল উদ্দেশ্য ছাত্র-ছাত্রীদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
সম্পর্কে সঠিকভাবে সচেতন করা। সেই সঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সঠিকভাবে অংশগ্রহণ
করানো এবং অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করা।
২০১৭ সালের ৫ ডিসেম্বর বিবিসিতে
প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়,
আয়তনে খুব ক্ষুদ্র হওয়া সত্ত্বেও বর্জ্য
অব্যবস্থাপনায় পুরো পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান যেখানে ১০ম, সেখানে
জনবহুল ভারতের অবস্থান ১২তম। অর্থাৎ আমাদের দেশে প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রবণতা অনেক
বেশি, তাই দূষণের ঝুঁকিও অনেক তীব্র। অন্যদিকে ২০১৪ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায়
দেখা গেছে, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু প্লাস্টিক বোতল ব্যবহারের পরিমাণ তিন
কেজি। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। এসব কিছু বিবেচনা করেই বিপিসিএল এ
ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে।
গত ১৪ অক্টোবর বিপিসিএল ইউল্যাবের সব
ক্যাম্পাসে সেপারেটেড বিন এবং পেট ও এইচডিপিই বোতলের জন্য আলাদা আলাদা বিন বসিয়েছে, যা
বাংলাদেশে এ প্রথম। এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা সঠিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করে তাদের
দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে। ফলে তাদের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ
তুলনামূলক হারে কম হবে। শুধু ইউল্যাবেই না বরং বিপিসিএল বাংলাদেশের বিভিন্ন
বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রকল্প খুব তাড়াতাড়ি শুরু করবে বলেও জানায়।
বলে রাখা ভালো, বিপিসিএলের
সারা দেশে বিভিন্ন শহরে সাতটি বোতল সংগ্রহের জন্য কালেকশন পয়েন্ট আছে, যা
বছরে ৭৫০ মিলিয়ন বোতল সংগ্রহ করে। এতে পরিবেশের ওপর যে প্রভাব পড়ে, তা
বিবেচনায় এনে বিপিসিএলকে অনুকরণ করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানও সারা দেশে
বোতল কালেশন পয়েন্ট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।