এক দশকে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষ বেড়েছে ৭ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত ১০ বছরে অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাত লাখ। তাই দেশের সব মানুষের মৌলিক অধিকার পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি। খাদ্য মন্ত্রণালয়কেই আইন প্রণয়ন বাস্তবায়নের ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে।

গতকাল রাজধানীতে খাদ্য পুষ্টি অধিকার জাতীয় সম্মেলন ২০১৯-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তারা এসব বলেন। খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ পিকেএসএফএর চেয়ারম্যান অর্থনীতিবিদ . কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি ছিলেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মাদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ। আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক . এমএম আকাশ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো . নাজনীন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন আক্তার ডলি। আর নেটওয়ার্কের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ সচিবালয়ের সমন্বয়কারী কানিজ ফাতেমা।

কানিজ ফাতেমা বলেন, ধান অনেক ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। দেশে এখন প্রায় আড়াই কোটি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। দেশে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক সামাজিক অগ্রগতির ফলে খাদ্যনিরাপত্তা ত্বরান্বিত হলেও দরিদ্র মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে না। দেশে একটি ভালো খাদ্যনীতি থাকলেও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাই ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে দেশবাসীকে খাদ্য অধিকার আইন উপহার দেয়া উচিত। এছাড়া খাদ্যমন্ত্রীর সক্রিয় উদ্যোগ নীতিনির্ধারকদের অংশগ্রহণে প্রক্রিয়া অচিরেই কার্যকর করতে হবে।

. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, নাগরিক সমাজের দায়িত্ব সরকারকে তার অঙ্গীকার মনে করিয়ে দেয়া। আমরাও তাই খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা আইনের কার্যকারিতা দেখতে চাই।

মোহাম্মাদ মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ বলেন, চালসহ বেশকিছু খাদ্যপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য আজ অনেকের জন্য অনুসরণীয়। খাদ্যের পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপদ খাদ্যও এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। ব্যাপারে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

অধ্যাপক . এমএম আকাশ বলেন, ২০০১ সালে ভারতের রাজস্থানে খাদ্যাভাবে দলিত মানুষের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং অবশেষে ২০১৩ সালে ভারতের মতো একটি বুর্জোয়া রাষ্ট্র ব্যবস্থায়ও খাদ্যনিরাপত্তা আইন তৈরি হয়েছে। এর অধীনে

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন