জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। ঝুঁকি মোকাবেলায় নানা প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে সরকারি-বেসরকারি ত্রাণনির্ভরতা থেকে সরে এসে দুর্যোগ সহনীয় দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। রাজধানীতে গতকাল উপকূলে জলবায়ু অভিযোজনবিষয়ক এক সেমিনারে এমন অভিমত জানান আলোচকরা। কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বঙ্গোপসাগর উপকূলে জলবায়ু অভিযোজন সম্পর্কিত পঞ্চম উপআঞ্চলিক কর্মশালার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ নেগোশিয়েটিং টিমের সমন্বয়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রিজম কলকাতার নির্বাহী পরিচালক অনিরুদ্ধ দে ও বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিষদের নির্বাহী পরিচালক ড. নিলুফার বানু। সেমিনারে যৌথভাবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাঈদ মাহমুদ রিয়াদ ও মো. আরিফুর রহমান।
সেমিনারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্যতায় দক্ষিণাঞ্চলের জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়া। এজন্য উপকূলে ফসল হচ্ছে না। পানি সংকটের কারণে মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে উঠেছে। উপরন্তু ২০১৯ সালে বড় দুটি ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে হয়েছে, যার প্রভাব দেশের অন্য অঞ্চলের তুলনায় উপকূলে বেশি। বন্যায় উত্তরবঙ্গের ২৮টি জেলা প্লাবিত হয়েছে। পদ্মা অববাহিকায় পানি বেড়ে বিপর্যস্ত হয়েছে কয়েক লাখ মানুষ। বড় এ চারটি দুর্যোগের দিকে তাকালে দেখবেন, অতীতে এত কম সময়ের ব্যবধানে এমন অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়নি।
তিনি আরো বলেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার ফলে সাতক্ষীরা-খুলনা অঞ্চলের মানুষের জমি আস্তে আস্তে পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। ওই এলাকাগুলোয় নদীর বাঁধের অবস্থা খুবই নাজুক। ওখানে গেলে দেখা যায়, মানুষ এখন প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকে। তারা আমাদের জানান দেয়, ত্রাণের প্রয়োজন নেই, নদীর বাঁধ সংস্কার করুন। সুতরাং, আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আলোকে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ড. খলীকুজ্জমান বলেন, আমাদের এটা মনে রাখতে হবে শেষ 
