বেশ কিছুদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দামে মন্দা ভাব বজায় রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডের (সিবিওটি) বুধবার কার্যদিবসে পণ্যটির দাম কমে প্রায় দুই মাসের সর্বনিম্নে নেমে যায়। তবে এর পরের দিনই দুরবস্থা কাটিয়ে কৃষিপণ্যটির দামে চাঙ্গা ভাব ফিরেছে। খবর রয়টার্স।
সিবিওটির বৃহস্পতিবার কার্যদিবস শেষে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি বুশেলে (৬০ পাউন্ড) সয়াবিনের দাম দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৯ ডলার শূন্য ৬ সেন্টে বেচাকেনা হয়। ১ অক্টোবর থেকে খাদ্যপণ্যটির দামে মন্দা ভাব বজায় ছিল।
এদিকে টানা তিন কার্যদিবস চাঙ্গা ভাব শেষে এদিন গমের দাম কিছুটা কমেছে। একই দিনে ভুট্টার দাম আগের দিনের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিবিওটির বৃহস্পতিবার কার্যদিবসে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি বুশেল গমের দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৫ ডলার ১৪ সেন্টে কেনাবেচা হয়। একই দিনে ভবিষ্যতে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি বুশেল ভুট্টা বিক্রি হয় ৩ ডলার ৬৬ সেন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় অপরিবর্তিত। আগের দিন কৃষিপণ্যটির দাম কমে ১৮ সেপ্টেম্বরের পর থেকে সর্বনিম্নে নেমে যায়।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের কৃষি অর্থনীতিবিদ ফিন জিবেল বলেন, মার্কিন-চীন বাণিজ্য বিরোধ অবসানে প্রত্যাশিত চুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে শস্যের দামে অস্থিরতা বিরাজ করছে। টানা তিনদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর বৃহস্পতিবার গমের দাম সামান্য কমেছে।
সম্প্রতি চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের ইতি টানতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিং কোনো চুক্তি করতে ব্যর্থ হলে চীনা পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরো বাড়িয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু বাণিজ্য বিশ্লেষক ও হোয়াইট হাউজের নিকটস্থরা বলছেন, এ মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে কোনো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা নেই, বরং পিছিয়ে পরের বছরে চলে যেতে পারে। সম্প্রতি হংকংয়ের বিক্ষোভকারীদের সমর্থন ও চীনকে মানবাধিকার বিষয়ে সতর্কবার্তা প্রেরণের জেরে দুই দেশের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ করছে।
এদিকে প্রতিকূল পরিবেশের জেরে যুক্তরাষ্ট্রে সয়াবিন ও ভুট্টা আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) জানায়, এ মুহূর্তে দেশটির ৫২ শতাংশ শীতকালীন গম ভালো অবস্থানে রয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৫৪ শতাংশ কম।
এদিকে শীর্ষ উৎপাদনকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যটির সংগ্রহ বিলম্বিত হওয়ায় আমদানিকারকরা দক্ষিণ আমেরিকার দিকে ঝুঁকছে।