পাটের সুতা ও বস্তা আমদানিতে আরোপিত অ্যান্টিডাম্পিং শুল্কের পরিসর বাড়িয়েছে ভারত। এক্ষেত্রে এ শুল্কের আওতাধীন বাংলাদেশী কোম্পানির সংখ্যা বাড়িয়েছে দেশটি। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি, বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া সস্তা পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা থেকে স্থানীয় খাত সংশ্লিষ্টদের সুরক্ষা দিতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস গতকাল এক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানায়, আরো (বাংলাদেশী) কোম্পানিকে অ্যান্টিডাম্পিং শুল্কের আওতায় আনতে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি জারি করা একটি নোটিফিকেশনে সংশোধনী এনেছে সংস্থাটি।
এক্ষেত্রে শুল্কের পরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে টনপ্রতি ৯৭ ডলার ১৯ সেন্ট থেকে ১২৫ ডলার ২১ সেন্ট পর্যন্ত।
বাংলাদেশ থেকে যাওয়া তুলনামূলক সস্তা পাটের সুতা ও বস্তার সঙ্গে প্রতিযোগিতা থেকে স্থানীয় খাত সংশ্লিষ্টদের সুরক্ষা দিতে পণ্যগুলো আমদানিতে ২০১৭ সালে প্রথম অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করে ভারত। সাধারণত একটি দেশের নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানির পণ্যের ওপর এ ধরনের শুল্ক আরোপ করা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, স্থানীয় আমদানিকারকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পণ্যগুলো আমদানি নিয়ে ২০১৫ সালে একটি অ্যান্টিডাম্পিং অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয় দেশটির ডিরেকটোরেট জেনারেল অব ট্রেড রেমেডিস।
প্রসঙ্গত, সস্তায় পণ্য আমদানি বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় খাত সংশ্লিষ্টরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কিনা, বিভিন্ন দেশের তা নিরূপণের জন্য অ্যান্টিডাম্পিং অনুসন্ধানের উদ্যোগ নেয়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারক দেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নিয়মের আওতায় থেকে শুল্ক আরোপ করে থাকে।
ভারতের পাট খাতে পশ্চিমবঙ্গের অবদান সবচেয়ে বেশি। সেখানকার সাড়ে তিন-চার লাখ মানুষ খাতটিতে নিয়োজিত রয়েছেন।