জ্বালানি হিসেবে বায়োডিজেলের ব্যবহার বাড়ছে

বিশ্বজুড়ে জ্বালানি হিসেবে বায়োডিজেলের ব্যবহার বাড়ছে। বিশেষ করে পরিবহন খাতে জ্বালানি পণ্যটির ব্যবহার বাড়ছে দ্রুতগতিতে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলের বাজারে বায়োডিজেলের উৎপাদন ব্যবহার দুটোই বাড়ছে। ব্রাজিল ২০২৩ সাল নাগাদ জ্বালানি খাতে বায়োডিজেলের হিস্যা ১৫ শতাংশ নিয়ে যেতে কাজ করছে। এছাড়া শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক দেশ ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়াতেও বাড়ছে জ্বালানিটির ব্যবহার। এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়ায় পরিবহন খাতে ব্যবহূত জ্বালানির ২০ শতাংশ পাম অয়েল থেকে উৎপাদিত বায়োডিজেল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জ্বালানি পণ্যটির ব্যবহার বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করবে দেশটি। এছাড়া চলতি বছর সব মিলিয়ে দেশটিতে ৫৭ লাখ টন বায়োডিজেল ব্যবহার হতে পারে। যেখানে আগামী বছর থেকে ব্যবহার বাড়িয়ে ৮১ লাখ টনে নিয়ে যেতে চায় জাকার্তা। বাড়তি চাহিদা মেটাতে আগামী বছর থেকে উৎপাদন ১৯ শতাংশ বাড়াবে দেশটি। অন্যদিকে দ্বিতীয় শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক দেশ মালয়েশিয়াও বায়োডিজেলের ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছে। বর্তমানে দেশটিতে মোট জ্বালানির ১০ শতাংশ বায়োডিজেল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যেখানে আগামী বছর থেকে ব্যবহার বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করবে দেশটি। বর্তমানে দেশটিতে সাত-আট লাখ টন বায়োডিজেল ব্যবহার হয়, যা আগামী বছর থেকে বাড়িয়ে ১৩ লাখ টন করতে চায় দেশটি। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে বায়োডিজেলের ব্যবহারও দ্রুত বাড়ছে। ২০১৭ সালে অঞ্চলের জ্বালানিটির ব্যবহার ছিল কোটি ৫৪ লাখ টন জ্বালানি তেলের সমান, যা ২০১৮ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে কোটি ৭০ লাখ টন। সে হিসাবে ব্যবহার বেড়েছে ১০ দশমিক শতাংশ। আগামীতে ইউরোপের বাজারে জ্বালানি পণ্যটির ব্যবহার আরো বেশি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন