অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে গতকাল বৈঠক করেছেন বিশ্বব্যাংকের ১১ জন নির্বাহী পরিচালক। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে
কবির, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের
(ইআরডি)
সচিব মনোয়ার আহমেদ, অর্থ
মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি
টেম্বন উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংক
আমাদের বন্ধু। উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ
বিশ্বে দ্রুত অর্থনৈতিক বর্ধনশীল দেশ। গত দুই দিনে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিরা দেশের
উন্নয়ন ইস্যু ও রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। বাংলাদেশে এখন ৮ শতাংশের
উপরে প্রবৃদ্ধি রয়েছে। ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ হবে।
বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের
প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে অংশ নেয়া প্যাট্রিজিও পাগানো বলেন,
বাংলাদেশ অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে
অগ্রাধিকার পাচ্ছে। আইডিএ নতুন ঋণের আওতায় বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে পারে।
শিগগিরই নতুন ঋণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ভালোভাবে ঋণ ব্যবহারের
ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ সফলতা দেখিয়েছে। এজন্য এবারে আইডিএ-১৯ ঋণ
কার্যক্রমের আওতায় সর্বোচ্চ ঋণ বাংলাদেশ পেতে পারে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা
প্রত্যাবাসন কবে হবে, এ বিষয়ে আমরা বলতে পারি না। বিশ্বব্যাংক রাজনৈতিক কোনো ইস্যুতে সমাধান
করতে পারে না। রাজনৈতিকভাবে বিষয়টি সমাধান করতে হবে। বিশ্বব্যাংক কেবল
অর্থায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
বাংলাদেশ যেমন আমাদের অংশীদার,
তেমনি মিয়ানমারও আমাদের অংশীদার। তবে রোহিঙ্গা
সংকটের ফলে কক্সবাজার এলাকায় নানা ধরনের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এসব উন্নয়ন
প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করছে। পাশাপাশি স্থানীয়দের উন্নয়নেও কাজ করা হচ্ছে।
সেখানকার স্থানীয় মানুষদের জন্য কাজ করা হচ্ছে।
মার্সি টেম্বন বলেন, দেশের
অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি এগিয়ে নিতে বিশ্বব্যাংক তার অঙ্গীকার করা অর্থের পুরোটাই
ছাড় করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ইতিবাচকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।