ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার: নয় মাসের শিশু ও মায়ের আবেদনে হাইকোর্টের ‍রুল

বণিক বার্তা অনলাইন

নয় মাসের এক শিশু ও তার মায়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কর্মক্ষেত্র ও পাবলিক প্লেসে ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’ ও ‘বেবি কেয়ার কর্নার’ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করতে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

আজ রবিবার ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

রুলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, গণপূর্ত সচিব, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব এবং বেসামরিক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করে তাদের চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল হালিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।

পরে আইনজীবী আব্দুল হালিম সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে নয় মাস বয়সী শিশু উমাইর বিন সাদী এবং তার মা ইশরাত হাসান এই রিট আবেদনটি করেন। সন্তানের পক্ষে হলফনামা করেছেন তার বাবা।

রিট আবেদনকারী ইশরাত সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তিনি সাংবাদিকদের জানান, তিনি তার বাচ্চাকে নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঢাকায় ফেরার পথে ফ্লাইট ধরতে কক্সবাজার এয়ারপোর্টে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এই দীর্ঘ সময় কোথাও তিনি ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার খুঁজে পাননি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।

পাবলিক প্লেসগুলোতে ‘স্মোকিং জোন’ আছে, কিন্তু ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’ নেই উল্লেখ করে রিটকারী ইশরাত হাসান বলেন, ‘অনেক কর্মস্থলে বা বাস, ট্রেন স্টেশনে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার না থাকায় মায়েদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। নিরাপদ পরিবেশের অভাবে ও যৌন হয়রানির ভয়ে মায়েরা শিশুদের বুকের দুধ পান করাতে পারেন না। অথচ একজন শিশুর মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন মায়ের বুকের দুধ। আমার মতো হাজার হাজার মা এই সমস্যার মুখোমুখি হন।’

রিট আবেদনে এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনর সংযুক্তি দিয়েছেন আবেদনকারী। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- সুন্দর, সুস্থ ও সবলভাবে শিশুকে বেড়ে তুলতে এবং নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিতে সরকারি বেসকারি প্রতিটি কর্মস্থলে ডে কেয়ার সেন্টার ও মাতৃদুগ্ধ দান কক্ষ স্থাপন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এরপর ৯ বছর অতিবাহিত হলেও এক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোনও উন্নতি লক্ষ করা যায়নি। বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রে কর্মজীবী মায়েদের জন্য নেই ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন