২৭৩০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

বণিক বার্তা অনলাইন

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) হল দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নতুন এমপিওভুক্ত হওয়া এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা গত ১ জুলাই থেকেই এর আওতায় বেতনভুক্ত হবেন।

সাধারণত এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের বেতনের একটি অংশ সরকার থেকে পান। এর আগে সবশেষ ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছিল সরকার। 

এরপর দীর্ঘদিন এমপিওভুক্তি বন্ধ থাকায় নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীর আন্দোলন করে আসছিলেন। রাজধানী ঢাকার প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন সময় অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন তারা। সবশেষ গতকালও প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলন করছিলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। 

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ২৭৩০টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির তালিকা প্রকাশ করবেন প্রধানমন্ত্রী। সে অনুযায়ী আজ বুধবার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেন। এসময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সংসদ সদস্য, বিভিন্ন এলাকার জনগণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার দাবি ছিল নন-এমপিও স্কুলগুলোকে এমপিওভুক্তির। শিক্ষকরা অনেকসময় আন্দোলনও করেছেন। আমরা বলেছি, আমরা সবই করবো তবে নীতিমালার ভিত্তিতে। কারণ অনেক সময় যত্রতত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। সেগুলোতের শিক্ষার মানও ঠিক মতো হয় না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা নীতিমালা প্রণয়ন করে এর মাধ্যমে যাচাই বাছাইও শুরু করি। তাতে একটু সময় লেগে যায়। নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই বাছাই শেষে আমরা ২৭৩০টি স্কুল এমপিওভুক্ত করেছি।’

ভবিষ্যতে যারা এমপিওভুক্তি চান, তাদেরও নীতিমালার নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদেরকে এমপিওভুক্ত করলাম, তাদের কাছেও আহ্বান থাকবে- আপনারা নীতিমালা অনুযায়ী সব নির্দেশনা পূরণ করতে পেরেছেন বলেই এমপিওভুক্ত হয়েছেন। এটা ধরে রাখতে হবে।’ 

এমপিওভুক্তি হয়ে যাওয়ার পর নীতিমালার নির্দেশনা কেউ ধরে রাখতে ব্যর্থ হলে সাথে সাথে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এমপিওভুক্ত হয়ে গেছে, বেতন তো পাবই, এখন আর ক্লাস নেওয়ার দরকার কী, পড়ানোর দরকার কী, চালানোর দরকার কী- এ চিন্তা করলে চলবে না।’

নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ-অষ্টম শ্রেণি) ৪৩৯টি ,মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ষষ্ঠ-দশম শ্রেণি) ৯৯৪টি, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) ৬৮টি, কলেজ (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) ৯৩টি এবং ডিগ্রি কলেজ (ত্রয়োদশ থেকে পঞ্চদশ) ৫৬টিকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগে সহস্রাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন