‘মৃত্যু যাতে না হয় অবহেলিত’

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিশুর জন্মকে নিশ্চিত নিরাপদ করতে অনেক পদক্ষেপ নেয়া হয়। কিন্তু একজন মানুষের মৃত্যু যখন আসে, তখন অনেক ক্ষেত্রেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয় না বা বিষয়ে প্রস্তুতি থাকে না। অবধারিত মৃত্যু যাতে অবহেলিত না হয়। একজন মানুষকে পৃথিবীতে স্বাগত জানানো যেমন প্রয়োজন, তেমনি তাকে পৃথিবী থেকে সম্মানজনক বিদায় দেয়াও আমাদের কর্তব্য। আর কাজটিই করে প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্রশমন সেবা। বিশ্ব হসপিস অ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস উপলক্ষে গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ শিকদার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এবিএম আবদুল হান্নান প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক নিজামউদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. জিলন মিঞা সরকার।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শনিবার বিশ্বব্যাপী উদযাপন করা হয় বিশ্ব হসপিস অ্যান্ড প্যালিয়েটিভ কেয়ার দিবস। নিরাময় অযোগ্য মৃত্যুপথযাত্রী মানুষ তাদের ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য চিকিৎসা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো একযোগে দিবস উদযাপন করে থাকে। প্যালিয়েটিভ কেয়ার সম্পর্কে প্রচারণা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি বিস্তার ঘটানোই দিবসটির মূল লক্ষ্য। বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে আমার যত্ন, আমার অধিকার

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, মৃত্যু অবধারিত একটি বিষয়। কিন্তু সে মৃত্যু যাতে অবহেলিত না হয়। মমতাময় পরিবেশ বিস্তারের মাধ্যমে প্যালিয়েটিভ সেবাকে এগিয়ে নিতে হবে।

অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান বলেন, দেশে যেসব রোগীর আইসিইউতে নেয়া হয়, তাদের প্রায় ৮০ শতাংশকেই আইসিইউর সেবা দেয়ার সুযোগ থাকে না। তাদের জন্য প্রয়োজন প্যালিয়েটিভ কেয়ারের ব্যবস্থা করা। যখন সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়, তখন যন্ত্রকে সঙ্গী না করে প্রিয়জন পরিবেষ্টিত অবস্থায় মৃত্যু অনেক কাঙ্ক্ষিত।

প্যালিয়েটিভ কেয়ারকে একটি নাগরিক অধিকার উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন