পদ্মার পানি এখনো বিপৎসীমার উপরে

বণিক বার্তা ডেস্ক

দেশে পদ্মা অববাহিকার বন্যাক্রান্ত অঞ্চলগুলোয় পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো বিভিন্ন স্থানে নদীর পানি বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত অঞ্চলগুলোয় পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ বন্যাদুর্গতদের।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে গঙ্গা-পদ্মা ছাড়া দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে। তবে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকার নদীগুলোর পানি সমতল হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে গঙ্গা-পদ্মা গড়াই নদীসংলগ্ন পাবনা, কুষ্টিয়া, মাগুরা, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর মুন্সীগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

উপদ্রুত অঞ্চলগুলোর বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বণিক বার্তা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর পানি ২৪ ঘণ্টায় সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, গতকাল সকার ৯টায় এখানে বিপত্সীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বর্তমানে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ৫০০, গোয়ালন্দ উপজেলার ৪৭৫, পাংশা উপজেলার ৫০০ কালুখালী উপজেলার দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। দুর্গত এলাকাগুলোর স্থানীয়দের অভিযোগ এখনো তাদের কাছে কোনো ত্রাণসহায়তা পৌঁছেনি।

রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম জানান, পানিবন্দি মানুষের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্লাবিত ইউনিয়নগুলোয় শুকনো খাবার চাল বিতরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ আগামীকাল প্লাবিত এলাকাগুলোর ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শুকনো খাবার চাল বিতরণ করা হবে।

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুটি ইউনিয়নের ৩৮টি গ্রাম বর্তমানে প্লাবিত অবস্থায় রয়েছে। ভেড়ামারা হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি গতকাল বিকালে বিপত্সীমার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। অন্যদিকে তীব্র স্রোতের কারণে কুষ্টিয়ার শিলাইদহের পদ্মা নদীর কুঠিবাড়ি রক্ষাবাঁধের প্রায় ৩১ মিটার ধসে গেছে। এছাড়া কুমারখালী উপজেলায় বেশ কয়েকটি গ্রাম প্ল­াবিত হয়েছে।

কুষ্টিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী পীযূষ কৃষ্ণ কুণ্ডু জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় দপ্তর বর্তমানে সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত। তাত্ক্ষণিক জরুরি ভিত্তিতে ব্লক ফেলে ভাঙনকবলিত অংশের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা মহানন্দা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় এখানে পদ্মা নদীর পানি কমেছে সেন্টিমিটার। মহানন্দার পানি কমেছে সেন্টিমিটার। তবে পানি কমলেও নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা রয়েছেন ভাঙন শুরুর আতঙ্কে।

এরই মধ্যে তীব্র স্রোতের কারণে মহানন্দার গোমস্তাপুর উপজেলার কাশিয়াবাড়ী নয়াদিয়াড়ী অংশে ভাঙন শুরু হয়েছে। জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান ফৌজদার জানান, বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার হাজার ৫৬২টি পরিবারের ২৪ হাজার ৬২৩ জন, শিবগঞ্জ উপজেলায় হাজার পরিবারের ৩২ হাজার ৪০০ গোমস্তাপুর উপজেলার ২৩৮টি পরিবারের ৯৮০ জন মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

স্থানীয় পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান আশা প্রকাশ করে বলেন, নদীর পানির সমতল কমতে থাকায় কয়েক দিনের মধ্যেই প্লাবিত এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

নাটোর: নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি। তবে আকস্মিক বন্যার কারণে পদ্মার বাম তীরের তিনটি স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভাঙন দেখা দিয়েছে নুরুল্লাপুরে। এখানে প্রায় ৭৩ মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন ধরায় আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর। এছাড়া আকসেদের মোড়ে ২০ মিটার নুরুল্লাপুরে নতুন বাঁধ এলাকায়

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন