স্পার্সদের গোলে ভাসাল বায়ার্ন

ম্যাচ শেষে ফল টটেনহাম - বায়ার্ন মিউনিখ স্কোরলাইন একবারের জন্য মনে করিয়ে দিচ্ছে, বেলো হরিজোন্তের সেই বিভীষিকাময় রাতটিকে যে রাতে নিজেদের মাঠে জার্মানির কাছে - গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল ব্রাজিল সেলেসাওদের মতো স্পার্সরাও খেলেছিল নিজেদের মাঠে তবে সেদিন প্রথমার্ধে ব্রাজিল বিধ্বস্ত হলেও লন্ডনে প্রথমার্ধ ছিল সমানে সমান যেখানে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার আগে একবারও মনে হয়নি এমন বীভৎস স্কোরলাইন অপেক্ষা করছে স্পার্সদের জন্য মূলত শেষ ১০ মিনিটে দিশেহারা হয়ে পড়া টটেনহামকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মেতেছিল বাভারিয়ান জায়ান্টরা অথচ শুরুটা ইঙ্গিত দিচ্ছিল একেবারে অন্যরকম কিছুর, যা শেষে গিয়ে পরিণত হয় গানব্রি শোয়ে চার গোল করে একাই টটেনহামকে বিধ্বস্ত করেন জার্মান তারকা

লন্ডনে এদিন শুরু থেকেই দুদলের উদ্দেশ্য ছিল একই আক্রমণাত্মক ফুটবলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেয়া যেখানে ২৬ মিনিটের খেলা চলার সময় টেলিভিশন স্ক্রিনে দেখা যায়, ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটে দুদল মিলে শট নিয়েছে ১০টি যার আবার ৯টিই ছিল লক্ষ্যে এর মাঝে দুদল আবার একবার করে বল জালেও জড়িয়ে দিয়েছে যেন পাল্টাপাল্টি এক রায়ট চলছে স্পার্সদের হয়ে এদিন প্রথমে গোলের খাতা খোলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্পেশালিস্ট সন হিউং-মিন ডি-বক্সের ভেতর বল পেয়ে আড়াআড়ি শট নিয়েছিলেন সন সেটি হাত লাগিয়েও ঠেকাতে পারেননি ম্যানুয়েল নয়্যার তখন পুরো স্টেডিয়াম কাঁপছিল স্পার্স সমর্থকদের উল্লাস ধ্বনিতে পিছিয়ে পড়ে অবশ্য মুষড়ে পড়েনি বায়ার্ন মিনিট সময় লাগে সমতায় ফিরতে জশোয়া কিমিচের দুর্দান্ত এক শট দূরের পোস্টে জমা পড়লে স্পার্সদের উল্লাস ধ্বনিতে তখন আফসোসের সুর এর পরও অবশ্য পিছু হটেনি কোনো দল বিশেষ করে বায়ার্নের চেয়ে টটেনহামকেই মনে হচ্ছিল বেশি ক্ষুরধার বারবার বায়ার্ন ডিফেন্সে ঢুকে ত্রাস সৃষ্টি করছিল তারা কিন্তু সুযোগ তৈরি করেও আসছিল না কোনো ফল অন্যদিকে বায়ার্নও চেষ্টা করছিল আক্রমণের ধার বাড়াতে কয়েকবার তারাও হানা দেয় টটেনহাম ডি-বক্সে কিন্তু লরিসের বাধা টপকাতে পারছিল না কোনোভাবে অবশেষে ডেডলক ভাঙার দায়িত্ব নেন দুর্দান্তভাবে মৌসুম শুরু করা রবার্ট লেভানডোভস্কি ৪৫ মিনিটে তার গোলেই লিড নিয়ে নেয় বায়ার্ন

পিছিয়ে পড়লেও বিরতির পর অন্যরকম এক টটেনহামকে দেখার প্রত্যাশা ছিল সমর্থকদের কিন্তু সেই

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন