ভারত থেকে চিনি ও চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। নতুন এ সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পারে। পাশাপাশি ২০২৫ সালের মধ্যে দুই দেশের বাণিজ্য ৫ হাজার কোটি ডলার হতে পারে। খবর ইকোনমিক টাইমস।
দুই দেশের মধ্যকার বর্তমানে বাণিজ্যে এখনো ইন্দোনেশিয়া লাভবান রয়েছে। কিন্তু নতুন করে দেশটির বাজারে যদি ভারত থেকে চিনি ও চাল রফতানি হয়, তাহলে সেটি বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
ভারতের বাজারে সবচেয়ে বেশি পাম অয়েল রফতানি করে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। এতদিন মালয়েশিয়া পণ্যটি রফতানিতে ভারতের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা নিয়ে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি ভারত সরকার মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে দুই দেশের পাম অয়েল রফতানিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে এসেছে। ভারত সরকারের এ পদক্ষেপের পরই জাকার্তা দেশটি থেকে চাল ও চিনি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাকার্তায় দুই দেশের মধ্যকার যৌথ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভারত থেকে মাংস, চাল ও চিনি আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এতে ভারতের পক্ষে ৪০ জন ব্যবসায়িক প্রতিনিধি অংশ নেন, যার নেতৃত্ব দেন দেশটির কৃষিপণ্য রফতানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এপিইডিএ) চেয়ারম্যান পবন কুমার বরঠাকুর।
দ্বিপক্ষীয় এ বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রদীপ কুমার রাওয়াত জোর দিয়ে জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের আকার দাঁড়াবে ৫ হাজার কোটি ডলারে। এছাড়া তিনি দুই দেশের বাজার সম্প্রসারণের ওপর জোর দেন।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের আকার ছিল ২ হাজার ১১১ কোটি ডলার। আর এখন নতুন করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের আকার ৫ হাজার কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে জাকার্তা-দিল্লি।
গত এপ্রিলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোর মধ্যকার বৈঠকের পর দুই দেশের ব্যবসায়িক পর্যায়ের বৈঠকে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।