জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিরা যে দেশেই থাকুক, তাদেরকে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
গতকাল সকালে ব্রাহ্মবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আনিসুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুই খুনির একজন আমেরিকায়, আরেকজন কানাডায় আছেন। আমেরিকায় যিনি আছেন, তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। কানাডায় যিনি আছেন, তাকে ফিরিয়ে আনতে আইনি প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বাকি চারজন কে কোথায় আছেন, তাদের বিষয়েও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। আমি বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যে যেখানেই থাকুক, তাদেরকে দেশের মাটিতে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান তৈরির প্রচেষ্টা ছিল। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের ভাগ্য পরিবর্তন হতে শুরু করে।
বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ১৫ আগস্টের বদলে ১৬ আগস্ট জন্মদিন পালন করছেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া প্রত্যেক দিন জন্মদিন বদলান। আজ যদি তিনি জন্মদিন পালন করেন, তাহলে তো এটা ৭৫তম জন্মদিন হবে না, এটা হবে প্রথম জন্মদিন। আর তার এ রকম প্রথম জন্মদিন যে কত আছে, তা তিনিই ভালো জানেন।
অধ্যক্ষ মো. জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কসবা পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল বক্তব্য রাখেন। এ সময় আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন, আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
