ওয়ান ব্যাংক উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রির ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি ওয়ান ব্যাংক পিএলসির উদ্যোক্তা হেফাজতুর রহমানের কাছে মোট ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ২১০টি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্য থেকে তিনি ১৪ লাখ ১১ হাজার ৭৪২টি শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন। ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পাবলিক মার্কেটে বিদ্যমান বাজারদরে এ শেয়ার বিক্রি করবেন তিনি। গতকাল ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

২০০৩ সালে শেয়ারবাজারে আসা ওয়ান ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার ৮৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬৫ কোটি ৮২ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৯০০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারের ৩১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ এর উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, ৩৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ৩৩ দশমিক ১৮ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।

চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) মুনাফা বেড়েছে ১৩৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৯ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। 

সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ ও ৩ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে ওয়ান ব্যাংকের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩৩ পয়সা।

আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৯ পয়সায়।

সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ওয়ান ব্যাংকের পর্ষদ। আলোচ্য হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৬ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১৫ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৮ টাকা ৬ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)। 

সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে ওয়ান ব্যাংক। ২০২০ হিসাব বছরের জন্য সাড়ে ১১ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল ওয়ান ব্যাংক। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৯ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি। আগের হিসাব বছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। ২০১৭ সালে মোট ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। এর মধ্যে ১৫ শতাংশ স্টক ও ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ।

ব্যাংকটির সার্ভিলেন্স রেটিং দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও রেটিং ঘোষণার দিন পর্যন্ত প্রাসঙ্গিক অন্যান্য পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন