সাবমেরিন কেবলের শেয়ার ইস্যুতে বিএসইসির সম্মতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধিত মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গতকাল বিএসইসির ৯২০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

বিএসইসি পরিচালক ও মুখপাত্র ফারহানা ফারুকী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ২ কোটি ২১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩টি শেয়ার ছেড়ে ১৬৬ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ টাকা। এর মধ্যে অভিহিত মূল্য ১০ টাকার সঙ্গে ৬৫ টাকা প্রিমিয়াম থাকবে। প্রদত্ত শেয়ার মানি জমার বিপরীতে ইস্যুকৃত সম্পূর্ণ শেয়ার বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবের অনুকূলে ইস্যু করবে কোম্পানিটি।

শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ কোম্পানিটি ‘আঞ্চলিক সাবমেরিন টেলিকমিউনিকেশনস প্রজেক্টে ব্যয় করবে। গতকাল ডিএসইতে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলের শেয়ার ১৫৯ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

সর্বশেষ সমাপ্ত ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) বিএসসিপিএলসির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ২০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই প্রান্তিকে যা ছিল ১২ টাকা ৭০ পয়সা। গত ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯২ টাকা ১৬ পয়সায়।

সমাপ্ত ২০২২-২৩ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিএসসিপিএলসি। সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল কোম্পানিটি।

২০১২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিএসসিপিএলসির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ১৬৪ কোটি ৯০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৫ হাজার ৫১০। এর মধ্যে সরকারের কাছে রয়েছে ৭৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৭২, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে ২ দশমিক ৭০ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন