৭২ বছর ধরে রেখেছে মানুষের বিশ্বাস

ছবি : সংগৃহীত

বিএসআরএমের শুরু

দেশভাগের সময় রড তৈরির কোনো কারখানাই ছিল না পূর্ব পাকিস্তানে। তখন ইস্পাত কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা করেন আকবরআলী আফ্রিকাওয়ালা। কারখানা নির্মাণের জন্য দক্ষ কারিগর আনা হলো কলকাতা থেকে। আর শ্রমিক এল পশ্চিম পাকিস্তান থেকে। ১৯৫২ সালে চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকায় নির্মাণ হলো রড তৈরির কারখানা ‘ইস্ট বেঙ্গল স্টিল রি-রোলিং মিলস’। এটাই শুরু। তবে স্বাধীনতার পর নাম বদল করে রাখা হয় বাংলাদেশ স্টিল রোলিং মিলস বা বিএসআরএম। কোম্পানিটির প্রথম প্রজন্ম আকবরআলী আফ্রিকাওয়ালার হাত ধরে এ ব্যবসার গোড়াপত্তন হলেও তার সন্তান ও গ্রুপটির বর্তমান চেয়ারম্যান আলীহোসাইন আকবরআলী অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায় গ্রুপটিকে। আজকের বিএসআরএমের স্বপ্নদ্রষ্টাও তাই মানা হয় তাকে। তবে বর্তমানে ব্যবসার হাল ধরেছেন তার সন্তান ও গ্রুপের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসাইন। ২০০০ সালে শিক্ষানবিশ কর্মী থেকে সব বিভাগে দক্ষতা অর্জনের নয় বছর পর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন তিনি। পরিচালক পদে আছেন জোহায়ের তাহেরালী (আলীহোসাইনের চাচাতো ভাই) ও তার স্ত্রী তেহসিন জোহায়ের তাহেরালী এবং আমীর আলীহোসাইনের স্ত্রী সাবিন আমীর।

বিএসআরএমের উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে বিপণনের নানান দিক নিয়ে লিখেছেন চট্টগ্রাম ব্যুরোপ্রধান রাশেদ এইচ চৌধুরী।

তিন প্রজন্মের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বৈচিত্র্য

প্রায় ৭২ বছর আগে যাত্রা করা প্রতিষ্ঠানটি ইস্পাত খাতকে ঘিরেই দক্ষতা আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে। যুক্তরাজ্য থেকে ১৯৮৩ সালে অটোমেটিক মেশিন এনে প্রডাক্ট তৈরি শুরু করে বিএসআরএম। পরের বছর উচ্চ শক্তির ‘কোল্ড-টুইস্ট স্টিল রড’ দিয়ে এ খাতে পণ্যের বৈচিত্র্য নিয়ে আসে। এরপর ১৯৮৭ সালে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চ শক্তির ৬০ গ্রেড রড উৎপাদনের প্রথম পদক্ষেপটিও বিএসআরএমের নেয়া। পরবর্তী সময়ে ‘এক্সট্রিম ৫০০ ডব্লিউ’ বাজারে আনে ২০০৮ সালে। ৬০ গ্রেডের চেয়ে আরো বেশি শক্তির এ ৫০০ গ্রেড রড। সুউচ্চ স্থাপনা, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, টানেল ও বড় ধরনের সেতু নির্মাণে ৮০ গ্রেডের বিএসআরএম ম্যাক্সিমা বাজারজাত শুরু হয় ২০১৫ সালে। ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা ও উপকূলীয় এলাকার জন্য লবণাক্ততা ক্ষয়রোধী বিশেষ ধরনের রডও প্রস্তুত করছে বিএসআরএম। বাংলাদেশের পর আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় কারখানা স্থাপন এবং হংকং ও ভারতে ব্যবসার বিস্তৃতি ঘটিয়েছে।

উৎপাদন বাড়াতে বড় বিনিয়োগে তৃতীয় রোলিং ইউনিট স্থাপন

বিলেট তৈরির সক্ষমতা আড়াই লাখ টন ও স্টিল প্রডাকশন রড এবং ওয়্যার রড মিলে উৎপাদন সক্ষমতা বছরে ছয় লাখ টন বাড়াতে বিএসআরএমের তৃতীয় রোলিং ইউনিট স্থাপনের পদক্ষেপটি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএসআরএম ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে। এজন্য ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও দেশী-বিদেশী ব্যাংকগুলোসহ আন্তর্জাতিক অর্থায়নকারী এতে অর্থায়ন করছে। কারখানা সম্প্রসারণের পর চট্টগ্রামভিত্তিক এ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মোট ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতা দাঁড়াচ্ছে ২৪ লাখ টন। যেটা দেশের মোট ইস্পাত উৎপাদনক্ষমতার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হবে। তৃতীয় এ ইউনিটে রয়েছে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সুবিধা, বায়ুদূষণ ব্যবস্থাপনা এবং পানি পরিশোধন ও পুনর্ব্যবহার প্লান্ট। 

৭২ বছর ধরে রেখেছে মানুষের বিশ্বাস 

সেফটি, নিরাপত্তায় প্রয়োজন উন্নতমানের রড। লাখ লাখ মানুষ যে বিশ্বাসে ৭২ বছর ধরে গড়েছে, সেই একই বিশ্বাসে তাদের নিরাপদ বাড়ি গড়ার অঙ্গীকার বিএসআরএমের। নিরাপদ দেশ গড়ার অঙ্গীকারে বিএসআরএম সর্বোচ্চ নিরাপত্তার কথা ভেবে উৎপাদনের প্রতিটি মুহূর্তে, রডের ‘মান’ নিয়ন্ত্রণে ও উনয়নে তৎপর থাকে প্রতিনিয়ত। গ্রাহকের প্রয়োজনে নিত্যনতুন প্রডাক্ট ও সার্ভিস উদ্ভাবন এবং মানসম্পন্ন রড নিশ্চিত করছে বলেই বিএসআরএম দেশের নাম্বার ওয়ান স্টিল এক্সপার্ট। স্মার্ট কনস্ট্রাকশন টেকনিক কাজে লাগিয়ে যেকোনো ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করছে গুণগত মান। 

বৈচিত্র্যময় উৎপাদন ব্যবস্থা বিএসআরএমকে করেছে নাম্বার ওয়ান স্টিল এক্সপার্ট 

এক যুগে ইস্পাত শিল্পে উৎপাদনের তালিকায় যুক্ত হয়েছে একের পর এক নতুন বিশেষায়িত রড। বৈচিত্র্যের পাশাপাশি পণ্য উৎপাদনেও রূপান্তর ঘটিয়েছে বিএসআরএম। 

বাংলাদেশের প্রথম কাস্টমাইজড স্টিল সলিউশন—বিএসআরএম ফাস্টবিল্ড সার্ভিস

স্ট্রাকচারাল ডিজাইন অনুযায়ী বিএসআরএম স্টিল সলিউশন দিয়ে চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাড়ি তৈরি করে দেয়ায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে এ সেবা। নির্মাণকাজে ক্রেতাকে চিন্তামুক্ত রাখতেই মূলত দেশের প্রথম কাস্টমাইজড স্টিল সলিউশন এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিবিএস কোড মেনে সঠিক সাইজ ও শেপে রড কাটিং-বেন্ডিং হয়। ফাস্টবিল্ড কাটিং, বেন্ডিং সাইটে রড রাখার ঝামেলা থেকে রাখে মুক্ত। এ সার্ভিসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় শেপ ও লেংথের স্টিল ডেলিভারি করা হয় স্ট্রাকচারাল ডিজাইন অনুযায়ী। বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) ও এসিআই কোড মেনে এ সার্ভিসে নির্মাণে যেমন সময় বাঁচে, তেমনি রডের অপচয়ও কমে। 

ইউরোপিয়ান অটোমেটেড মেশিনে তৈরি বিএসআরএম ওয়েল্ডেড ওয়্যার রিইনফোর্সমেন্ট

বাড়ির ছাদ ও মেঝে ঝামেলাবিহীনভাবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ করতে এটা নতুন যুগের কনস্ট্রাকশন টেকনোলজি। সাধারণত ল্যাপিংয়ে একটি রডের ওপর আরেকটি রড রেখে জোড়া দেয়া হয়। এতে রডের অপচয় হয়। ব্যবহারে ল্যাপিংয়ের জন্য অতিরিক্ত রডের প্রয়োজন হয় না এবং নির্মাণ হয় দ্রুত ও ঝামেলাহীন। স্থাপনাকে মজবুত করার পাশাপাশি প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে সহজেই বিস্তৃতও করা যায়।

স্মার্ট কনস্ট্রাকশন টেকনিক: ভবনকে নিরাপদ ও দৃঢ় করতে প্রয়োজন স্মার্ট কনস্ট্রাকশন টেকনিক। আর এ কাজকে সহজ করতে বিএসআরএমের রয়েছে ডব্লিউডব্লিউআর। এটি বাড়ির মেঝে, ছাদ ও রাস্তা নির্মাণে অপচয় কমায়। 

বিএসআরএম সিকিউরিং: গ্রেডেড স্টিলে তৈরি পারফেক্ট রিং—বিএসআরএম সিকিউরিং তৈরি হয় সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ইউরোপিয়ান মেশিনে। এর ১৩৫ ডিগ্রি হুক নির্মাণযজ্ঞে কলাম ও বিমের শক্তি ও দীর্ঘস্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। 

কাপলার প্রযুক্তি: বিশ্ববিখ্যাত ডেক্সট্রা গ্রুপের তৈরি এ কাপলার প্রযুক্তি উচ্চ শক্তি ক্ষমতাসম্পন্ন সংযোজন ব্যবস্থা, যা ল্যাপিংয়ে রডের অতিরিক্ত ব্যবহার রোধ করে। প্রথম এ কাপলার ব্যবহার করা হয় চট্টগ্রামের হালিশহরের ‘গ্রীন ক্যাসল’ প্রজেক্টে।

লবণাক্ততা রোধেও তৈরি হয় বিশেষায়িত রড

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মাটি ও পানির লবণাক্ততা বেড়ে বাড়ির রডে মরিচা ধরছে দ্রুত। এতে অনেক সময়ই মূল কাঠামোয় ফাটল ধরে স্থাপনার স্থায়িত্ব নড়বড়ে হয়ে যায়। মাটির এ লবণাক্ততা মোকাবেলায় যেকোনো স্থাপনা নির্মাণে প্রতিষ্ঠানটির কারখানায় উৎপাদন হয়ে আসছে করোশন প্রতিরোধী ইপোক্সি কোটেড রড বিএসআরএম সেঞ্চুরা। বিএসআরএম সেঞ্চুরা দেশের প্রথম ইপোক্সি কোটেড রিবার, যা এসটিএমে ৭৭৫/এ ৭৭৫এম অনসৃত। ক্ষয় বা করোশন প্রতিরোধে এ রডের ওপর এক বিশেষ ধরনের কোটিং করা হয়, যার নাম ইপোক্সি। এ কোটিং রডের ক্ষয় প্রতিরোধ করে এবং ভবনকে দেয় দীর্ঘস্থায়িত্ব। তাই উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে ভবন নির্মাণে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এছাড়া বাড়ির পানির ট্যাংকির রড পানির কাছাকাছি থাকার কারণে খুব দ্রুত মরিচা ধরার ঝুঁকিতে থাকে। আবার স্থাপনার আন্ডারগ্রাউন্ড সাবস্ট্রাকচার সবসময় ভেজা মাটির সংস্পর্শে থাকে। ফলে রডে মরিচা ধরার আশঙ্কা থাকে। রডে মরিচা ধরে ট্যাংকির কংক্রিটে ফাটল ধরতে পারে, ভবনের ওয়াটার রিজার্ভার, ছাদ, সুইমিংপুল ও সেপটিক ট্যাংক তৈরিতে জনপ্রিয় দেশের একমাত্র এ মরিচা প্রতিরোধী ফিউশন-বন্ডেড ইপোক্সি-কোটেড স্টিল। 

ভূমিকম্প সহনশীল 

স্থাপনা নির্মাণের সময় সামান্য সতর্কতাই নিশ্চিত করতে পারে এর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। এতে ভূমিকম্প হলেও ভবনের অনেক ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পারে। ভালো মানের উপকরণ দিয়ে ও জাতীয় বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) মেনে বাড়ি তৈরি করা প্রয়োজন। মূল ডিজাইনের বাইরে করা যেকোনো কিছু ভূমিকম্পের সময় স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতির কারণ হতে পারে। 

ইস্পাত বর্জ্যকে শতভাগ পরিবেশবান্ধব সবুজ পণ্যে রূপান্তর

কারখানায় ইস্পাত তৈরির প্রক্রিয়ায় যে বর্জ্য উৎপন্ন হয় সেটি ইটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। পরিবেশের ওপর দূষণের চাপ কমাতে এ উদ্যোগ। ২০১২ সালের দিকে স্ল্যাগের ব্যবহার নিয়ে কাজ শুরু করে চার বছর পর বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যায়। বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের মাধ্যমে উপযোগিতা নিরীক্ষা করা হয়। মূলত কাঁচামাল স্ক্র্যাপ থেকে বিলেট তৈরির প্রক্রিয়ায় স্ল্যাগ (ইন্ডাকশন ফার্নেসেস স্ল্যাগ) নামে এক ধরনের বর্জ্য তৈরি হয়। প্রতি টন ইস্পাতের বিপরীতে গড়ে ৫০-৬০ কেজি স্ল্যাগ উৎপাদিত হয়। কঠিন এ বর্জ্যকেই ইটের বিকল্প হিসেবে নির্মাণসামগ্রীতে রূপ দিয়েছে বিএসআরএম। বাণিজ্যিক পণ্যে রূপান্তর না করে এসব বর্জ্য ডাম্পিং করা হলে জমির উর্বরতা কমত, আবার পানিতে ফেললেও ক্ষতিগ্রস্ত হতো জীববৈচিত্র্য। এখন বিএসআরএমের পরিবেশবান্ধব ও অর্থসাশ্রয়ী এ প্রডাক্ট নাসিরাবাদ শিল্প এলাকার দুটি, ভাটিয়ারী ও মিরসরাইয়ের দুটিসহ মোট চারটি কারখানায় স্ল্যাগ প্রক্রিয়াজাত করা হয়। প্রতি বছর এক লাখ টনেরও বেশি উৎপাদিত স্ল্যাগের পুরোটাই নির্মাণসামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ উদ্যোগের জন্য এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩ পেয়েছে বিএসআরএম। 

উৎপাদন ব্যবস্থাকে করেছে রফতানিমুখী

বায়ুদূষণের বড় কারণ শিল্প-কারখানার ধোঁয়া। তাই পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও শিল্প-কারখানার ধোঁয়া পরিশোধন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিশেষ করে ইস্পাত কারখানায় লোহা গলানোর সময় যে কালো ধোঁয়া নির্গত হয় তা পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিএসআরএম বসিয়েছে ‘এয়ার পলিউশন কন্ট্রোল সিস্টেম ইউনিট’। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের বায়েজীদ এলাকার দুটি কারখানায় এবং মিরসরাইয়ে অবস্থিত কারখানায় সংযোজন করে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ ইউনিট। স্ক্র্যাপ থেকে স্টিল তৈরিতে বিলেট প্রস্তুত হওয়ার সময় যে ধোঁয়া বের হয় সেই ধোঁয়া বায়ুমণ্ডলে মেশার আগেই এ ইউনিটের মাধ্যমে পরিশোধন করে ফেলা হয়। এ প্রক্রিয়ায় ছাঁকনিতে আটকা পড়ে দূষণকারী উপাদানগুলো জমে দেখতে কালো ছাইয়ের মতো হয়। দূষণমুক্ত ধোঁয়া বায়ুমণ্ডলে চলে যায়। কারখানায় বিলেট তৈরিতে স্ক্র্যাপ লোহা গলানোর প্রক্রিয়ায় যে ছাই উপজাত হিসেবে পাওয়া যায় সেটি রফতানি করছে চীন, থাইল্যান্ড, কোরিয়ায়। সংগ্রহ হওয়া ছাইয়ে জিংকের পরিমাণ বেশি থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে এই ছাইয়ের মূল্যমানও বেশি। কালি ও প্রিন্টারের কার্ট্রিজ তৈরির কাঁচামাল হিসেবে এ ছাই ব্যবহার করা হয়। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ প্লান্ট স্থাপনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। 

মেগাস্ট্রাকচার প্রকল্পে বড় পরিসরে বিএসআরএম রড

দেশের এমন কোনো বড় কিংবা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নেই যেখানে বিএসআরএমের রড ব্যবহার হচ্ছে না। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে, মাতারবাড়ী ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন, ঢাকায় মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলে রড সরবরাহ হয়েছে বড় পরিসরে। এমনকি বিশ্বের গভীরতম পাইল করা পদ্মা সেতুর মূল কাঠামোর জন্য ৫০ মিমি ব্যাসের রিইনফোর্সিং বার তৈরি হয়েছে একমাত্র বিএসআরএমের কারখানায়। হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণে ব্যবহৃত হচ্ছে ইপোক্সি কোটেড বার-বিএসআরএম সেঞ্চুরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন