জিপিএইচ ইস্পাতই সর্বপ্রথম এনেছে অটোমেশন লেভেল ২.৫ ও ইন্ডাস্ট্রি লেভেল ৪.০ সমৃদ্ধ স্টেট অব আর্ট টেকনোলজি

ছবি : বণিক বার্তা

দেশের ইস্পাত খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন করার উদ্দেশ্য নিয়ে বলুন

জিপিএইচ ইস্পাত সবসময় বিশ্বাস করে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টে। তাই কাজ করছি মানুষের কল্যাণ ও টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রায়। ভারী এ শিল্পখাতে বাংলাদেশকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং দেশীয় ইস্পাত শিল্পকে উত্তরোত্তর প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে এগিয়ে নিতে দেশে জিপিএইচ ইস্পাতই সর্বপ্রথম এনেছে অটোমেশন লেভেল ২.৫ ও ইন্ডাস্ট্রি লেভেল ৪.০ সমৃদ্ধ স্টেট অব আর্ট টেকনোলজি। সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড এবং ইন্টিগ্রেটেড এই ডিজিটাল শিল্প-প্রযুক্তি ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ নামেও বহুল পরিচিত। ফলে আমরা বলতে পারি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী স্টিলের গুণগত মান নিশ্চিত করেই দেশের একমাত্র কোয়ান্টাম প্রযুক্তির স্টিল প্রস্তুত ও বিপণন করছি।

সম্প্রসারণ কতটা সময়োপযোগী হলো?

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে ভবিষ্যতে স্টিলের চাহিদা বাড়বে। জিডিপির সঙ্গে নির্মাণ খাতের সম্পর্ক রয়েছে। জিডিপি বাড়লে নির্মাণসামগ্রীর বাজারও বাড়বে। বিশ্বে অন্যান্য দেশের সঙ্গে হিসাব করলে দেখা যাবে বাংলাদেশে এখনো গড়ে মাথাপিছু স্টিল ব্যবহার অনেক কম। সেটিকে মাথায় রেখেই বড় ধরনের এ সম্প্রসারণের উদ্যোগটি নেয়া। ধীরে ধীরে উৎপাদনক্ষমতা বাড়ালে অপচয়ও বাড়ে।

বিনিয়োগে এমন সাহসী উদ্যোগ নেয়ার পেছনে চ্যালেঞ্জও নিশ্চয় বড়?

প্রথমেই বলব দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে আমরা এ চ্যালেঞ্জ নিয়েছি। এছাড়া মানুষ এখন অনেক সচেতন। ক্রয়ক্ষমতার পাশাপশি সচেতন মানুষ এখন সর্বোচ্চ মানের পণ্যই কিনতে চায়। আর ইস্পাত পণ্যে সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে হলে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্বের যেকোনো গ্রেডের রড তৈরির সক্ষমতা তৈরি করতে পেরেছি। আবার প্রযুক্তির কারণে গুণগত মানের পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্য পরিবেশবান্ধবও।

রডের স্ট্রেংথের সঙ্গে নির্মাণে আলাদা সুবিধা পাওয়ার কোনো সম্পর্ক আছে?

আমাদের কারখানায় উৎপাদিত “GPH QUANTUM B600D-R” ও “GPH QUANTUM B600C-R” রড গুণগত মানে অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়ায় এটি ব্যবহারে নির্মাণকাজে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ রড কম লাগবে। একই সঙ্গে কমিয়ে দেয় শ্রমিক, পরিবহন খরচ ও সময়ের পরিমাণ। নতুন এ রড ব্যবহারে ভবন নির্মাণের সময় কলামের সেকশন সাইজ কমানো সম্ভব হবে। এতে ফ্লোরের জায়গা বাড়বে। এছাড়া এ রডের স্থায়ী ও পর্যায়ক্রমিক (সাইক্লিক লোডিং) ভার বহনের সক্ষমতাও বেশি। ফলে ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগে স্থাপনা অধিক নিরাপদ থাকবে।

সীতাকুণ্ডে পানির সংকটে দিশেহারা বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তারা।

সীতাকুণ্ডে যেসব শিল্প-কারখানা আছে প্রায় সবাই ভুগছে পানি সংকটে। হাজার ফুট গভীরে গিয়েও পানি মিলছে না। আবার পানি ছাড়া ইস্পাতসহ বেশির ভাগ শিল্পকারখানা চালানোও যায় না। আমরা বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে ব্যবহারের বিকল্প পথ বের করি। এজন্য পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব যাতে না পড়ে সেটি নিশ্চিত করতে আগে সমীক্ষা করিয়েছি। তাদের সুপারিশ পাওয়ার পরই পাহাড়ের পানি সংরক্ষণ করে ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়। ভূগর্ভের পানি ব্যবহার না করায় আশপাশের বাসিন্দাদেরও পানির সংকট তীব্র হয়নি।

ইস্পাতের কাঁচামাল আমদানিতে একটা বড় চাপ পড়ে সড়কপথের ওপর। কোনো সুপারিশ আছে এ ব্যাপারে?

দেশের বিভিন্ন স্থানের নৌবন্দরগুলোকেও আধুনিকায়ন করতে মনোয়োগ দেয়া প্রয়োজন। এটা করা গেলে সড়কের ওপর চাপ অনেক কমানো সম্ভব হবে। প্রায় ২৫০ ট্রাকে যে পরিমাণ পণ্য নেয়া যায় সেটা নৌপথে একটি ছোট আকারের লাইটার জাহাজেই পরিবহন করা সম্ভব। এজন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন