নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ এবং রেস্তোরাঁ শিল্পের কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে সরকারের নীতিসহায়তা চান এ খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনার জটিলতা হ্রাস, রেস্তোরাঁগুলোর ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তারা। গতকাল এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে ফুড অ্যান্ড ফুড সেফটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ আহ্বান জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইমরান হাসান। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, ‘সবার জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা কঠিন, তবুও আমাদের কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন করতে হবে।’
রেস্তোরাঁর পরিবেশ, নিরাপত্তা ও খাদ্যের মান নিশ্চিতকরণে রেস্তোরাঁ শিল্পের জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা, ভেজাল রোধ, অগ্নিনিরাপত্তা ও রেস্তোরাঁ শিল্পের অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে এ খাতের উদ্যোক্তা ও অংশীজনদের স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী।
সভায়
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা রেস্তোরাঁ শিল্পের জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা, লাইসেন্সপ্রাপ্তি ও নবায়নের প্রক্রিয়া
সহজীকরণ, ভেজালবিরোধী আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা, অভিযান পরিচালনা এবং খাদ্যে ভেজাল নির্ধারণে গাইডলাইন নির্ধারণ, ভেজাল নির্ণয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টেস্টিং সক্ষমতা বৃদ্ধি, অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সহযোগিতার মানসিকতা
তৈরি, অভিযানের নামে ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে হেনস্তা বন্ধ করা, নিরাপদ খাদ্য ও রেস্তোরাঁ ব্যবসার
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সব অংশীজনকে নিয়ে
জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার আয়োজন, রেস্তোরাঁ মালিকদের ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ প্রদান, রেস্তোরাঁ শিল্পের জন্য আলাদা বিভাগ বা কর্তৃপক্ষ গঠন
করাসহ বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন।