জেদ্দায় নির্মাণ হবে ট্রাম্প টাওয়ার

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

সৌদি আরবে বিলাসবহুল ট্রাম্প টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে ট্রাম্প অর্গানাইজেশন। সংস্থাটি জানায়, প্রকল্পটি সৌদি আরবের মেগা ডেভেলপার দার আল আরকানের আন্তর্জাতিক বিভাগ দার গ্লোবালের সঙ্গে অংশীদারত্বে নির্মাণ করা হবে।

প্রকল্পটির কাজ সফলভাবে শেষ হলে জেদ্দা টাওয়ারই হবে সৌদি আরবে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের প্রথম মেগা প্রজেক্ট।

ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছেলে এরিক ট্রাম্প বলেন, ‘‌মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের উপস্থিতি জোরদার করতে এবং দার গ্লোবালের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মাধ্যমে এ অঞ্চলে ট্রাম্প টাওয়ারের সমমানের বিলাসিতা নিয়ে আসতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত।’

দার গ্লোবাল জানায়, প্রকল্পটি সৌদি আরবের বিলাস বাজার এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের লক্ষ্য করে নির্মিত হতে যাচ্ছে।

কিছুদিন আগেই দার গ্লোবাল ও ট্রাম্প অর্গানাইজেশন ওমানে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল কমপ্লেক্স নির্মাণের ঘোষণা করেছে।

 ২০২৮ সাল নাগাদ আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া এ পাঁচ তারকা হোটেলে একটি নাইটক্লাব, গল্ফ কোর্স ওএর সদস্যদের জন্য ক্লাব থাকবে।

যদিও এ হোটেলের লাইসেন্সে ট্রাম্পের নাম এবং লোগো ব্যবহার করা হবে, এটি ট্রাম্প সংস্থার মালিকানাধীন নয়।

তবে মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের নতুন প্রকল্পগুলো ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ী হয়ে হোয়াইট হাউজে ফিরে গেলে সম্ভাব্য স্বার্থের সংঘাতের বিষয়ে উদ্বেগ বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

সিটিজেনস ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড এথিক্স ইন ওয়াশিংটনের (সিআরইডব্লিউ) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ কাউন্সিল ডোনাল্ড কে শেরম্যান সংবাদমাধ্যম সিএনএসকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের ক্রমাগত ব্যবসার সম্প্রসারণে জাতীয় নিরাপত্তা, দুর্নীতি ও সাংবিধানিক উদ্বেগ বেড়েই চলেছে।’

বিশেষ করে সৌদি আরবে ব্যবসার প্রসার ঘটানোর ক্ষেত্রে উদ্বেগের যথার্থতা তুলনামূলক বেশি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘‌যদি ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের পদে ফিরে আসেন তিনি সম্ভবত সংবিধানের ফরেন ইমোলুমেন্ট ক্লজ লঙ্ঘন করবেন। এমনটি তিনি তার প্রথম মেয়াদে বারবার করেছিলেন।

ট্রাম্প অর্গানাইজেশন মূলত ব্যক্তিগত ট্রাস্টের মালিকানাধীন। এর একমাত্র সুবিধাভোগী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া তার পারিবারিক ব্যবসাও রয়েছে। ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসা ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও এরিক ট্রাম্প দ্বারা পরিচালিত হয়।

গত বছর ট্রাম্প অর্গানাইজেশন উল্লেখযোগ্য আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হয়। নিউইয়র্কের বিচারক এক দশকব্যাপী ট্যাক্স জালিয়াতি প্রকল্পের জন্য কোম্পানিটিকে ১৬ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা করেছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন