প্রায় সব খাতের শেয়ারে নেতিবাচক রিটার্ন

সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক কমেছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের মূলধনি মুনাফার ওপর করারোপ এবং তালিকাভুক্ত অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর ব্যবধান কমানোর নেতিবাচক প্রভাবে পুঁজিবাজারে নিম্নমুখিতা অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহে দেশের পুঁজিবাজারে প্রায় সব খাতের কোম্পানির শেয়ারে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স কমেছে দশমিক শতাংশ। সূচকের পাশাপাশি সাপ্তাহিক গড় লেনদেন কমেছে ১৬ শতাংশ।

পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স সূচক এর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১১৯ পয়েন্ট বা দশমিক শতাংশ কমে হাজার ১১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল হাজার ২৩৭ পয়েন্টে। এছাড়া গত সপ্তাহে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৩৬ পয়েন্ট বা দশমিক শতাংশ কমে হাজার ৮২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল হাজার ৮৫৮ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত সপ্তাহে ২৯ পয়েন্ট বা দশমিক শতাংশ কমে হাজার ১০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল হাজার ১৩৭ পয়েন্টে।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া মোট ৩৯৪ টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫৪টির, কমেছে ৩২৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৭টির দর। এছাড়া লেনদেন হয়নি ১৮টির। গত সপ্তাহে সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে পাওয়ার গ্রিড, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, এনসিসি ব্যাংক ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানির (বিএটিবিসি) শেয়ার।

ডিএসইতে গত সপ্তাহে দৈনিক গড়ে ৩৭৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যেখানে আগের সপ্তাহে ছিল ৪৫২ কোটি টাকা। সে হিসাবে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ১৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট হাজার ৮৮২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল হাজার ২৫৮ কোটি টাকা।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ২৩ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ রসায়ন খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে খাদ্য আনুষঙ্গিক খাত। ১১ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। মোট লেনদেনের দশমিক শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। আর ব্যাংক খাতের দখলে ছিল লেনদেনের দশমিক শতাংশ।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে শুধু আনুষঙ্গিক খাতের শেয়ার ইতিবাচক রিটার্নে এসেছে। এছাড়া বাকি সব খাতের শেয়ারেই নেতিবাচক রিটার্ন ছিল। এর মধ্যে পাট খাতে ১০ দশমিক শতাংশ, কাগজ মুদ্রণ খাতে দশমিক শতাংশ, সিরামিক খাতে শতাংশ, জীবন বীমা খাতে দশমিক শতাংশ এবং সেবা আবাসন খাতে শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে।

দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে ১৪ হাজার ৫৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৪ হাজার ৯৪৭ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে হাজার ৭৪৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল হাজার ৯৮৯ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৬৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪৩৩ কোটি টাকা। গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৩টি কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৬টির, কমেছে ২৪৬টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১টির বাজারদর।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন