রান্নার কাজে সাধারণত আমরা গ্যাস সিলিন্ডার
ব্যবহার করে থাকি, কিছু বিষয় না জানার ফলে অসতর্কতায় ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
বাংলাদেশের এলপিজি বিধিমালা, সিলিন্ডার বিধিমালা এবং বিস্ফোরণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে
কিছু সতর্কতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে—
১. গ্যাস সিলিন্ডার, রেগুলেটর, পাইপ
অনুমোদিত বিক্রেতাদের কাছ থেকে কেনা উচিত।
২. কোম্পানির সিল, সেফটি ক্যাপ, পাইপ
রাবারের রিং, রেগুলেটর ঠিকভাবে আছে কিনা, সেটা পরীক্ষা করে নিতে হবে। কারণ বাজারে ভালো
ও খারাপ দুই মানের যন্ত্রাংশই আছে।
৩. বিএসটিআই অনুমোদিত যন্ত্রাংশ কিনতে
হবে।
৪. সিলিন্ডারে সংযোগ দেয়ার জন্য দক্ষ
লোকের সাহায্য নিতে হবে। নিজে সংযোগ দেয়া যাবে না।
৫. পরিবহনের সময় সিলিন্ডারটি টানাহ্যাঁচড়া
করে, ধাক্কা দিয়ে, মাটিতে গড়ানো যাবে না।
৬. সিলিন্ডারের গায়ের মেয়াদ নিয়মিত
পরীক্ষা করতে হবে।
৭. এলপিজি সিলিন্ডার খাড়াভাবে দাঁড়
করিয়ে রাখতে হবে। উপুড় বা কাত করে রাখা যাবে না। এমনভাবে রাখতে হবে যেন আশপাশে কোনো
কিছুর সঙ্গে ধাক্কা না লাগে।
৮. সিলিন্ডার কোনো পাটাতনের ওপর নয়
বরং মাটিতে সমতল পৃষ্ঠে রাখতে হবে এবং চুলা, সিলিন্ডার থেকে কমপক্ষে ছয় ইঞ্চি ওপরে
রাখতে হবে।
৯. সিলিন্ডার কোনোভাবেই চুলার/আগুনের
খুব কাছাকাছি রাখা যাবে না।
১০. সিলিন্ডারটি লম্বা পাইপের সাহায্যে
চুলা থেকে অন্তত তিন ফুট দূরে স্থাপন করতে হবে।
১১. সিলিন্ডার রান্নাঘরের চুলার নিচে,
কেবিনেটের ভেতরে কিংবা বদ্ধ অবস্থায় নয় বরং খোলামেলা জায়গায় এবং সমান ভূমিতে রাখতে
হবে। যেখানে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করে। তবে সরাসরি সূর্যের নিচে রাখা যাবে না। ছায়া
যুক্ত শুষ্ক পরিচ্ছন্ন স্থানে রাখতে হবে।
১২. সিলিন্ডার যেখানে থাকবে সেখানকার
একটি জানালা সবসময় খোলা রাখার চেষ্টা করতে হবে। না হলে ঘরের ওপর ও নিচে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটরের
ব্যবস্থা করতে হবে।
১৩. গ্যাস সিলিন্ডার পরিবর্তনের সময়
অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যেন চুলা চালু না থাকে।
১৪. আগুন, বিদ্যুৎ এবং তাপের যেকোনো
রকম উৎস থেকে এলপিজি সিলিন্ডার দূরে রাখতে হবে। দাহ্য, প্রজ্বলিত বা বিস্ফোরক পদার্থ
এবং ভিন্ন কোনো গ্যাসের সিলিন্ডার এলপিজি সিলিন্ডারের কাছাকাছি রাখা যাবে না।
১৫. যেখানে সিলিন্ডার রাখা হচ্ছে তার
আশপাশে আগুন জ্বালানো, ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
১৬. সিলিন্ডারের ওপরে ভারী বোঝা রাখা
যাবে না।
এছাড়া বছরে অন্তত একবার গ্যাস সিলিন্ডারটি এবং এর সঙ্গে ব্যবহার হওয়া নানা রকম সামগ্রীর নিয়মিত ডিস্ট্রিবিউটর বা সরবরাহকারী দিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। তাছাড়া যেকোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাসা, বিশেষ করে রান্নাঘরের মধ্যে নিরাপত্তামূলক বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র, যেমন—গ্যাস ডিটেক্টর এবং ফায়ার এক্সটিঙ্গুইশার কিংবা হাতের কাছে কম্বলের মতো মোটা কাপড় রাখা যেতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয়, কেনার আগেই বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এলপিজি ক্রয় করা।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (এমজিআই) অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফ্রেশ এলপি গ্যাস, ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে এরই মধ্যে সবার আস্থা অর্জন করে নিয়েছে। সম্প্রতি রিটেইল সেলসের ভিত্তিতে দেশের এলপি গ্যাস ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম শীর্ষ অবস্থানে চলে এসেছে ‘ফ্রেশ এলপি গ্যাস ব্র্যান্ড’। দেশব্যাপী বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং পণ্যের গুণগত মান সুনিশ্চিত করেই এ সাফল্য অর্জন করেছে ফ্রেশ এলপি গ্যাস।
ফ্রেশ এলপি
গ্যাসের প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ
§ ফ্রেশ এলপি গ্যাস নিশ্চিত করে প্রপেইন আর বিউটেইনের সঠিক অনুপাত। তাই নিশ্চিত হয় প্রয়োজনীয় চাপ, সর্বোচ্চ তাপ
আর দ্রুত রান্না। ফলে
এক সিলিন্ডারে চলে বহুদিন।
§ সর্বাধুনিক ইউরোপিয়ান টেকনোলজি দ্বারা সঠিক
মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিফিল হয় প্রতিটি সিলিন্ডার, তাই প্রতিবার গ্রাহক পান সঠিক ওজনের
ফ্রেশ এলপি গ্যাস।
§ আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ট ডিওটি-বিএ-ডিজাইন কোড অনুযায়ী তৈরি হয় ফ্রেশ এলপি গ্যাস সিলিন্ডার এবং প্রতিটি সিলিন্ডার হয় অনেক পুরু ও আন্তর্জাতিক মানের ওয়েল্ডিং।
ফলে নিশ্চিত হয় শতভাগ সুরক্ষা।
§ রয়েছে দেশব্যাপী বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক, তাই পাওয়া
যায় সারা দেশে সবসময় হাতের নাগালে।
ফ্রেশ এলপি গ্যাস সবসময় সব
জায়গায়ই দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করে। তাই বহুতল ভবন, হাউজিং প্রজেক্ট কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গ্যাসের
সব রকম প্রয়োজনে রয়েছে রেটিকুলেশন সিস্টেম সার্ভিস। আমাদের এক্সপার্ট ইঞ্জিনিয়ারিং টিমের সুপারভিশনে স্থাপন করা
হয় রেটিকুলেশন সিস্টেম, রয়েছে বিক্রয়োত্তর
সেবা।
পাশাপাশি রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে
বাল্ক এলপিজি সরবরাহের সুব্যবস্থা। সিরামিক, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল,
বেকারি, গ্যাস লাইটার, ফিড
ও হ্যাচারি, সিমেন্ট ফ্যাক্টরিসহ অন্যান্য ফ্যাক্টরিতে ভিন্ন
ভিন্ন প্রয়োজনে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ফ্রেশ এলপি গ্যাস নিয়মিতভাবে সরবরাহ করে যাচ্ছে
বাল্ক এলপিজি সলিউশন।
আরো রয়েছে গাড়ির জ্বালানি হিসেবে সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব সমাধান ফ্রেশ অটোগ্যাস। জয়েন্ট ভেনচার ও ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে এরই মধ্যে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে অটোগ্যাস ষ্টেশনগুলো। সর্বোপরি কিচেনে ফ্রেশ এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার নিশ্চিত করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা।