বর্জ্য অপসারণে আগের চাইতে বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছি: মেয়র তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা

কোরবানির হাট ও কোরবানি উপলক্ষে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতির মানদণ্ডে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক) আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (১২ জুন) সকাল ১০টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। 

ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আগে কোরবানির হাট ও কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত যান-যন্ত্রপাতিতে আমাদের কিছু দর্বলতা ছিল। কিন্তু এবার আমরা পূর্ণভাবে সক্ষম। কারণ, বর্জ্য অপসারণের জন্য আমরা নিজস্ব অর্থায়নে এরই মধ্যে ১০ টন সক্ষমতার ২৫টি ড্রাম্প ট্রাক ও ১০টি পে-লোডার আমাদের বহরে সংযোজন করেছি। আরো ১৫টি ডাম্প ট্রাক সংযোজন করা হচ্ছে। সুতরাং, আমাদের যানবাহন ও যন্ত্রপাতির বহর এখন অত্যন্ত সমৃদ্ধ। বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতির মানদণ্ডে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে আমরা এখন অনেক বেশি সক্ষম। আমরা আশাবাদী, গতবার ঢাকাবাসীকে যে সুবিধা দিতে পেরেছি, যেভাবে বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করতে পেরেছি, এবার তার চেয়েও আরো সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব।

এবার কোরবানির হাট ও কোরবানি উপলক্ষে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে আলাদা আলাদা কার্যক্রম নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে ঢাদসিক মেয়র বলেন, আমরা আশাবাদী যে স্বাচ্ছন্দ্যেই পশুর হাটগুলো পরিচালিত হবে এবং সবাই সেখান থেকে নির্বিঘ্নে পশু ক্রয় করতে পারবেন। কারো কোনো বিড়ম্বনা হবে না। 

এবার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পাশাপাশি প্রতিটি হাটেও আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলেও মেয়র জানান। 

তিনি বলেন, কোথাও যদি কোনোরকম বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়, আমাদের হাটের কিংবা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে অবগত করলে আমরা অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেব। এছাড়াও আমরা প্রতিবছরই আগের বছরের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করি। সে আলোকে আমাদের কর্মপরিকল্পনা ঢেলে সাজাই। সে প্রেক্ষিতে এবার আমরা হাট ও জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণে আলাদা আলাদা জনবল, যান-যন্ত্রপাতি ও ব্যবস্থাপনা করেছি। 

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, গতবছরের ন্যায় এবারো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সুতরাং ঈদের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে, সেটা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারিত হবে। পরের দিন যে বর্জ্য সৃষ্টি হবে সেটাও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারিত হবে। আর যেহেতু চাঁদরাত হতে হাটে পশুর সংখ্যা, হাটের পরিধি ও বিক্রি কমে যায় সেহেতু চাঁদরাতের মধ্যরাত হতে আমরা হাটের বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করব। 

এ সময় ঢাদসিক মেয়র ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে ঢাকাবাসীকে পরিবার-পরিজন নিয়ে স্বাচ্ছন্দে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত আদায় করার আহ্বান এবং ঢাকাবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও জাতীয় ঈদগাহে প্যান্ডেলের অভ্যন্তরে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন এবং অতিবৃষ্টি হলেও প্রধান ঈদ জামাত আয়োজনের সব প্রস্তুতি রয়েছে ও মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দে ঈদের জামাত পড়তে পারবেন বলে গণমাধ্যমকে জানান মেয়র তাপস। 

পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন