ম্যাচে আমরা ১২০ ভাগ দিয়েছি:নাজমুল হোসেন শান্ত

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিশ্বকাপে গতকাল ২০ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বাংলাদেশের জয়ের রূপকার তাওহীদ হৃদয় ছবি: এপি
Default Image

সম্প্রতি আইসিসির সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজে হেরে মাথা হেঁট হয়েছে সাকিব-শান্ত-হৃদয়দের। সেই পরাজয়ের প্রভাব বিশ্বকাপেও পড়ে কিনা, সেই ভয় ছিল। যদিও সব শঙ্কা এক হল্কায় উড়িয়ে দিয়ে অবশেষে স্বস্তির জয় পেল বাংলাদেশ। গতকাল ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়াম অল-এশিয়ান দ্বৈরথে শ্রীলংকাকে ২ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। 

ডালাসে ‘ডি’ গ্রুপের এ ম্যাচে পাওয়া জয়ে অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্তর বুকের ওপর থেকেও পাথরটা নেমে গেল। জয় শেষে ম্যাচ প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠানে শান্ত বলেন, ‘আজ আমাদের প্রত্যেকের শারীরিক ভাষা অসাধারণ ছিল। আমরা নিজেদের ১২০ ভাগ দিয়েছি। গত ১০-১৫ দিন ধরে আমরা পরিকল্পনা করছিলাম। সব ফিল্ডার তাদের কাজটি দারুণভাবে করেছে। আমি মনে করি তারা (শ্রীলংকা) ভালো বোলিং করেছে, তবে এ উইকেটে আমাদের আরো সহজে জেতা উচিত ছিল।’

আসলে বলা উচিত, স্নায়ুচাপের কঠিন পরীক্ষায় উতরে গেল বাংলাদেশ। বোলাররা সহজ জয়ের ভিত গড়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত সহজ জয় আর পাওয়া হলো না। তীরে গিয়ে তরী ডোবার ভয়ও ছিল। যদিও পরিশেষে এসেছে ২ উইকেটের জয়। তাই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছেন বাংলাদেশ দলনায়ক। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে সিংহলিজদের হারানোর পর বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছেন, আর কোনো ম্যাচে এতটা চাপ সামলাতে হয়নি তাদের।

নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে ভুগছে বাংলাদেশ। টপ অর্ডারের বেশির ভাগ ব্যাটারই অনেকদিন ধরে রান পাচ্ছিলেন না। বেশ অধারাবাহিক মিডল অর্ডারও। তাই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভীষণ চাপেই ছিল শান্তর দল। জয় শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলনায়ক এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘ক্যারিয়ারের সবচেয়ে চাপের ম্যাচ ছিল না কিনা? বলা যেতে পারে। আমার কাছে তো তাই লেগেছে খেলা শুরুর আগে থেকে। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে এ রকম চাপের ম্যাচ এর আগে আমি খেলিনি। দিন শেষে জিততে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ্‌।’

সুপার এইটে ওঠার সমীকরণ মেলাতে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ ম্যাচের ফলের ওপরই অনকেটা নির্ভর করছিল সুপার এইটের সম্ভাবনা। এ ম্যাচে জিতে পূর্ণ ২ পয়েন্ট তুলে নিল টাইগাররা। এখন সামনের জন্য নতুন পরিকল্পনা করবেন শান্ত। অধিনায়ক বললেন, ‘এ জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পরের তিন ম্যাচও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পরের ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে। ওই ম্যাচে নতুন করে পরিকল্পনা করে আসতে হবে। ভালো ক্রিকেট খেলা ছাড়া উপায় নেই। বিশেষ করে আমরা ব্যাটসম্যানরা যদি অবদান রাখতে পারি তাহলে ভালো করতে পারব।’

এ আত্মবিশ্বাস নিয়েই পরের ম্যাচে ভালো করতে চায় বাংলাদেশ। শান্ত বলেছেন, ‘এ ধরনের ম্যাচ জিতলে সবাই আত্মবিশ্বাসী থাকে। যেহেতু ম্যাচটা আমরা জিততে পেরেছি সবার বাড়তি আত্মবিশ্বাস থাকবে। এ বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে যদি দ্বিতীয় ম্যাচে যেতে পারি তাহলে কাজে দেবে। আশা করি দ্বিতীয় ম্যাচটাও ভালো হবে।’ 

হাসারাঙ্গাকে তিন ছক্কায় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া সাহসী তাওহীদ হৃদয়ের প্রশংসাও ঝরল শান্তর কথায়। তিনি বলেন, ‘হৃদয় সত্যিই অনেক সাহসী ছিল। সে যে ধাঁচে ব্যাট করেছে তা আমাদের জিততে সাহায্য করেছে।’ 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন