গাজীপুরে লিজ নিয়ে মৎস্য খামার দখলে রাখার অভিযোগ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, গাজীপুর

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ২০-২৫ জন মৎস্যচাষী যৌথ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন গোয়ীলা বাইদ নামে একটি মৎস্য খামার। সাড়ে পাঁচ বছর আগে তারা একেআর ফার্মিংয়ের মালিক হাজী রহম আলী ব্যাপারীর কাছে খামারটি লিজ দেন। তবে লিজের মেয়াদ শেষ হলেও খামারটি তিনি দখলে রেখেছেন বলে অভিযোগ চাষীদের। মাছ চাষ করতে না পেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন প্রকৃত মালিকরা। খামারটি উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে লিখিত আবেদনও করেছেন তারা।

স্থানীয় মৎস্য চাষীরা জানান, লিজের মেয়াদ পাঁচ বছর হলেও তা শেষ হয়েছে। এর পরও খামারটি প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর না করায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেন তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি শালিস বৈঠকে খামারটি ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর প্রকৃত মালিকদের কাছে ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। তার পরও তিনি দখল ছাড়েননি। নির্দেশ অমান্য করায় ৫ মে একটি শালিসি প্রতিবেদন পেশ করেন চেয়ারম্যান। সেখানে হাজী রহম আলীকে  আইন অমান্যকারী হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে ১৬ মে খামারের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ অনন্ত চন্দ্র সরকার জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে একটি আবেদন করেছেন।

যোগাযোগ করা হলে হযরত আলী নামে এক খামারি বলেন, ‘হাজী রহম আলী বেপারি শুধু আমাদের খামারই দখল করেননি, এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আরো রয়েছে। তিনি পাঁচ বছরের জন্য লিজ নিয়েছিলেন। মেয়াদ শেষে এখন জোর করে দখল করে রেখেছেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশও তিনি মানছেন না।’

খামারটির সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘মাছ চাষ করতে না পারায় পাঁচ-ছয় মাস ধরে আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছি। অন্যদিকে জোর করে খামার দখল করায় এর ভবিষ্যত নিয়েও আমরা চিন্তিত।’

তবে খামার দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাজী রহম আলী ব্যপারী। তিনি বলেন, ‘খামারটি জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ মিথ্যা। আমি পাঁচ বছরের জন্য লিজ নিয়েছিলাম। পরে আবারো আমাকে লিজ দেয়ার কথা বলে তারা দিচ্ছে না। খামারে আমার মাছ রয়েছে, আমি আবারো লিজ নিতে চাই। চেয়ারম্যানের ডাকা একটি মিটিংয়ে আমি যাইনি। শুনেছি চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আফজাল হোসেন খান বলেন, ‘খামারিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়। কিন্তু হাজী রহম আলী বিচার মানতে অস্বীকার করেন। তিনি খামারটি জোর করে দখল করে রেখেছেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন