ন্যাশনাল লাইফের ৩৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

পুঁজিবাজারে বীমা খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২৩ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৩৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুসারে, ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ৩০ জুন দুপুর ১২টায় ডিজিটাল প্লাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ জুন।

চলতি ২০২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির সমন্বিত জীবন বীমা তহবিলের আকার দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৭৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭১ হাজার টাকায়। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে এ তহবিলের আকার ছিল ৪ হাজার ৮৪৭ কোটি ২৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৭৮ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৮৪ পয়সা। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ২২ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৫২ টাকা ৬৫ পয়সায়। 

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৮৪ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৩ টাকা ৭৬ পয়সা। এর আগের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৩২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য ২৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা। তার আগে ২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। ২০১৭ হিসাব বছরের জন্য মোট ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় তারা। এর মধ্যে ২০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল।

১৯৯৫ সালে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১০৮ কোটি ৫২ লাখ ২০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারসংখ্যা ১০ কোটি ৮৫ লাখ ২১ হাজার ৯৮১। এর মধ্যে ৫৫ দশমিক ৮৮ শতাংশই রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ১৮ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ২৯ দশমিক ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইতে বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ১১২ টাকা ৬০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর ছিল যথাক্রমে ৯০ টাকা ৭০ পয়সা ও ২০০ টাকা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন