বাফুফের ৫ কর্মকর্তাকে ফিফার শাস্তি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের দায়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পাঁচ কর্মকর্তাকে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের গভর্নিং বডি ফিফা। বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ও খুলনা-৪ আসরের বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীকে প্রায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে তিন বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা ও প্রায় ২৬ লাখ টাকা জরিমানা, সাবেক প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসাইন ও অপারেশন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমানকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা ও ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং সাবেক প্রকিউরমেন্ট অফিসার ইমরুল হাসান শরীফকে সতর্ক করা হয়েছে। দেশে ফুটবলের উন্নয়নে ফিফার দেয়া তহবিলের অনিয়ম করায় শাস্তি পেয়েছেন বাফুফের কর্মকর্তারা। গতকাল ফিফা এক বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

সাবেক কৃতী ফুটবলার ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুস সালাম মুর্শেদীকে ফিফা ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। তার বিরুদ্ধে ফিফা প্রতিবেদনের ১৪ নম্বর ধারা ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে। যে ধারায় সাধারণ কর্তব্য পালনে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত বাফুফের অর্থ কমিটির প্রধান হিসেবে ফিফা তহবিলের অর্থের অনিয়মের কারণেই এ জরিমানা করা হয়েছে তাকে। সেই অনিয়মে ক্রয় ও পরিশোধের প্রক্রিয়াগুলোয় মিথ্যা তথ্য, ত্রুটিপূর্ণ ক্রয় আদেশ ও ভুয়া দলিল পরিবেশনের দায়ে দেয়া হয়েছে এ শাস্তি।

বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে তিন বছর সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রমে অংশ নেয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। সঙ্গে ২০ হাজার সুইস ফ্রাঁ বা প্রায় সাড়ে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর আগে ফিফার তহবিল অনিয়মের দায়ে তাকে ফিফা দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল এবং ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করেছিল। সোহাগের শাস্তি বাড়িয়েছে ফিফা। 

ফিফার তহবিলের অর্থ খরচে জালিয়াতি ধরা পড়েছিল ফিফার তদন্তে। তখন এ ব্যাপারে শুনানি হয়েছিল জুরিখে ফিফার সদর দপ্তরে। সেই শুনানিতে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়ে। সোহাগসহ ফেডারেশনের অভিযুক্ত কর্তারা ফিফার সদর দপ্তরে গিয়ে সেই শুনানিতে অংশ নেন। এর পরই সোহাগকে নিষিদ্ধ করে ফিফা। তখন মুর্শেদীর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি সংস্থাটি। এবার মুর্শেদীসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে শাস্তি প্রদানের বিষয়টি জানাল বিশ্ব ফুটবলের ক্ষমতাধর এ সংস্থা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন