ফিউচার মার্কেটে বড় দরপতনে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

ফিউচার মার্কেটে এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক দরপতনের মুখে পড়েছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের পাশাপাশি পণ্যটির চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই মূলত এমন দরপতন দেখা দেয়। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে গতকাল জুলাইয়ে সরবরাহ চুক্তিতে পাম অয়েলের দাম আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ৪১ শতাংশ বা ৫৬ রিঙ্গিত কমেছে। প্রতি টনের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯২৮ রিঙ্গিতে (৮২১ ডলার ৫৯ সেন্ট)। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠ সপ্তাহের মতো দাম কমল।

মালয়েশিয়ায় চলতি বছর পাম অয়েল উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে। বছর শেষে উৎপাদনের পরিমাণ ১ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টনে উন্নীত হতে পারে বলে মনে করছে দেশটির পাম অয়েল বোর্ড (এমপিওবি)। শ্রমিক সংকট কিছুটা নিরসন হওয়ায় উৎপাদন নিয়ে আশাবাদী দেশটির খাতসংশ্লিষ্টরা।

এমপিওবির মহাপরিচালক আহমেদ পারভেজ গুলাম কাদির জানান, বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল উৎপাদক দেশটিতে চলতি বছর মজুদ প্রায় ১৯ লাখ ৫০ হাজার টনে নামতে পারে, গত বছর যা ছিল ২২ লাখ ৯০ হাজার টন।

তিনি আরো জানান, ২০২৩ সালে ১ কোটি ৫১ লাখ টন পাম অয়েল রফতানি করেছিল মালয়েশিয়া। এ বছর তা কিছুটা বেড়ে ১ কোটি ৫৬ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। প্রতি টনের মূল্য ৩ হাজার ৯০০ থেকে ৪ হাজার ২০০ রিঙ্গিতের মধ্যে ওঠানামা করতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২৩ সালে মিশ্র প্রবণতায় ছিল মালয়েশিয়ার পাম অয়েল খাত। তবে এ বছর পরিস্থিতি অনেকটাই ইতিবাচক থাকবে। প্রধান প্রধান সব নির্দেশকের উন্নতি হয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হয় পাম অয়েলের। বিপুল সরবরাহ ও প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য তেলের তুলনায় সাশ্রয়ী হওয়ায় ব্যবসায়ীদের কাছে এর কদর বেশি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেলের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি দাম কমে যাওয়ায় পাম অয়েলের চাহিদা কমছে। পাম অয়েল ক্রেতারা দামের সুবিধা নিতে প্রতিদ্বন্দ্বী এসব তেলের বাজারে ঝুঁকছেন। এতে পণ্যটির মূল্য পুনরুদ্ধার ব্যাহত হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

গত বছর মালয়েশিয়ান বাজার আদর্শ পাম অয়েলের গড় দাম প্রায় ১১ শতাংশ কমে গিয়েছিল। তবে চলতি বছরের শুরুতে এর বাজার কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত দাম বেড়েছে ৫ শতাংশ। তবে বছরের বাকি সময় ফের নিম্নমুখী চাপে পড়তে যাচ্ছে পণ্যটির বাজার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন