চিনির সরবরাহ ঘাটতি আরো তীব্র হওয়ার আশঙ্কা

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি: রয়টার্স

বিশ্ববাজারে চিনির সরবরাহ ঘাটতি আরো তীব্র হতে পারে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সুগার অরগানাইজেশন (আইএসও)। বৈরী আবহাওয়ায় দেশে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং চিনির বদলে বায়োডিজেল তৈরিতে আখের ব্যবহার বৃদ্ধি পণ্যটির সরবরাহকে ব্যাহত করছে। খবর নাসডাক।

ইন্টারন্যাশনাল সুগার অরগানাইজেশন সম্প্রতি চিনির বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে পণ্যটির ঘাটতি পূর্বাভাস সংশোধন করে বাড়ানো হয়। নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ মৌসুমে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) চিনির বৈশ্বিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৬ লাখ ৮৯ হাজার টন। এর আগের পূর্বাভাসে ৩ লাখ ৩৫ হাজার টন ঘাটতির কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ মৌসুমে ভোগ্যপণ্যটির বৈশ্বিক বাজার ভারসাম্য অনেক বেশি সংকুচিত থাকবে। ফলে দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন বাস্তবতায় উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বিশ্ববাজারে চিনির মজুদও তলানিতে অবস্থান করছে। সরবরাহ ঘাটতির এ পূর্বাভাস সত্য হলে মজুদ আরো সংকুচিত হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে গ্রিন পুল।

প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে চিনি উৎপাদন আগের মৌসুমের তুলনায় ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ১৯ কোটি ৫৮ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। এটি হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় রেকর্ড সর্বোচ্চ উৎপাদন। এক্ষেত্রে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করবে থাইল্যান্ড। তবে ভারতে উৎপাদন কমার আশঙ্কা রয়েছে। পণ্যটির বৈশ্বিক ব্যবহার ১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ১৯ কোটি ৫৬ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন