ঈদ ও ঈদ-পরবর্তী ১১ দিন বাল্কহেড চলাচল নিষেধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

ঈদে নৌপথ ব্যবহারকারী ঘরমুখো মানুষের যাত্রা সহজ ও নিরাপদ করতে নৌ পুলিশ আগামী ৬-১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন এবং ছোট ও ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চে যাত্রী পরিবহনে বিরত থাকা, সূর্যাস্তের পর বাল্কহেড ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা, ঈদ-পূর্ববর্তী পাঁচদিন, ঈদ ও ঈদ-পরবর্তী পাঁচদিনসহ মোট ১১ দিন বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা, চাঁদাবাজি, বৈধ কাগজপত্রবিহীন কোনো নৌযান না চালানো, ন্যায্যমূল্যে ভাড়া আদায়ে তদারকি, টার্মিনাল ব্যতীত নদীর যেকোনো জায়গায় অন্য কোনো ছোট নৌযান থেকে যাত্রী ওঠানো-নামানো বন্ধ নিশ্চিতকরণ।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নৌপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে নৌ পুলিশ বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন নৌ পুলিশপ্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ। ঈদে নৌযাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে নৌ পুলিশ সব নৌঘাট, নৌ-টার্মিনালগুলোয় দায়িত্ব পালন করবে বলেও জানান তিনি। 

গতকাল নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে আইন-শৃঙ্খলা ও নৌ-ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় বক্তারা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ নৌপথসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। 

অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, ‘নৌপথ নিরাপদ রাখতে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন হবে। নৌ পুলিশ কর্মদক্ষতার মাধ্যমে নৌপথে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা সে আস্থার জায়গা সবসময়ই ধরে রাখতে চাই। নৌপথে সব ধরনের অপরাধ নির্মূলে নৌ পুলিশ অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে। নৌপথে যেকোনো সমস্যায় নৌ পুলিশের কন্ট্রোল রুমের নম্বর-০১৩২০১৬৯৫৯৮ অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে নৌ পুলিশকে অবহিত করলে নৌ পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ঈদুল ফিতর উদযাপনে নৌপথ ব্যবহারকারী প্রত্যেকেই যেন নিরাপদে তাদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেটি নিশ্চিত করতে নৌ পুলিশ সবসময়ই আপনাদের পাশে রয়েছে।’

সভায় বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, লঞ্চ মালিক সমিতি, নৌ-পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, নৌ-পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, কার্গো ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, জাহাজি শ্রমিক ফেডারেশন, নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন, কার্গো ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়ন, লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন বাঘাবাড়ী, সুন্দরবন নেভিগেশন সদরঘাট, এমকে শিপিং লাইনসসহ নৌযান ও নৌপথের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, অতিরিক্ত ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ, ডিসি লালবাগ, ডিএমপি, নৌ পুলিশের সব অঞ্চলের পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন