এডিস মশা নির্মূলে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে ডেঙ্গু
নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত
লাল সেন।
আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ঢাকার দুই
সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া প্রতিরোধমূলক সমন্বয় সভা শেষে প্রেস
ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে
ডেঙ্গু প্রতিরোধের বিষয়ে কাজ করতে হবে। কীভাবে কাজ করতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
দেশের সকল হাসপাতাল প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। রোগীকেও দ্রুত হাসপাতালে আসার অনুরোধ
থাকবে। কেননা দেরি করলে ঝুঁকি বাড়ে। সমন্বয় যেন ভালো হয় তাই এ সভার আয়োজন করা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা বিটিআই
আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গত বছর বিটিআই আমদানির ঠিকাদারি দেয়া হয়েছিল তবে তারা
সঠিকভাবে কাজ করেনি। তারা মিসডিক্লারেশন করেছে। এজন্য আমরা নিজস্বভাবে আমদানি করব।
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে বিটিআই বায়োলজিক্যালি উত্তম। আগে কৃষি বিভাগ কীটতত্ত্ববিদ দিত
এখন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ দিচ্ছে। এডিস মশার জন্য প্রতিটি দফতর ও সংস্থাকে দায়িত্বশীল
হতে হবে।
ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা,
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক
ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অর্ধশত কর্মকর্তা।
এদিকে নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ব্রিফিংয়ের জন্য সভা কক্ষে
প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয় সাংবাদিকদের। প্রেস ব্রিফিংয়ে সভার কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাতে
না পারায় সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়েন ঢাকা উত্তরের মেয়র ও মন্ত্রী। প্রেস ব্রিফিং
শেষ হওয়ার আগেই সভা কক্ষ ত্যাগ করেন মেয়র। অনর্থক কেন সাংবাদিকদের ডাকা হয়েছে তা জানতে
চাওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত করতে ডেঙ্গুর দৈনিক আপডেট পড়েন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
মহাপরিচালক।