গাজীপুরের দরদরিয়ায় প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে দুষ্প্রাপ্য ও তাৎপর্যপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্র ‘ঐতিহ্য অন্বেষণ’।

দরদরিয়া দুর্গ প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও খননে আবিষ্কৃত প্রত্নবস্তুর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ অনুষ্ঠানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মধ্যযুগের ইট নির্মিত দুর্গ এবং তাৎপর্যপূর্ণ প্রত্নবস্তু আবিষ্কৃত হয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ দরদরিয়া গ্রামের ‘দরদরিয়া দুর্গ বা রানীর বাড়ি’ প্রত্নস্থানটিতে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণাকাজ শুরু হয়েছে। 

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি গতকাল বিকালে দরদরিয়া দুর্গে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ ও খননে আবিষ্কৃত প্রত্নবস্তুর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য ও পর্যটনকে আকৃষ্ট করার জন্য দরদরিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের অনেক দেশ পর্যটকদের মাধ্যমে বড় রাজস্ব আয় করছে। এটা বাংলাদেশের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন আবিষ্কার। এটা বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।’

ঐতিহ্য অন্বেষণের সভাপতি ড. নুহ-উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আফরোজা খান মিতাসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা। 

প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি ও প্রত্নতত্ত্ববিদরা দুর্গ এলাকা ঘুরে দেখেন। প্রায় ২৫০ বছর আগে ১৭৭৯ সালে প্রকাশিত ‘বেঙ্গল অ্যাটলাসে’ জেমস রেনেল একডালার অবস্থান দেখিয়েছেন কাপাসিয়া অঞ্চলে। প্রাথমিক জরিপে দুর্গের আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফিচার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেছে। এ মুহূর্তে বহিস্থ দুর্গ-প্রাচীর সম্পর্কে ধারণা কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে। বহিস্থ দুর্গ-প্রাচীরটিও প্রায় অর্ধচন্দ্রাকৃতির। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দরদরিয়া প্রাচীনকালে ছিল খুবই শক্তিশালী দুর্গ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন