বাংলাদেশের
কৃষি ছিল পারিবারিক খামারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। যার জমি আছে সেখানে নিজেদের জন্যই চাষাবাদ
করতো। অন্যের জন্য চাষাবাদ করতো না। কিন্তু সেচ, নতুন নতুন ফসলের জাত, যান্ত্রিকীকরণসহ
নানা ধরনের প্রযুক্তি আসার পর ভূমিহীন বা বর্গাচাষীদের জন্য কৃষিতে একটি নতুন দিগন্ত
উন্মোচিত হয়েছে।
রাজধানীর
একটি হোটেলে আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সরকারি গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা
প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্ষিক সম্মেলনের আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিআইডিএসের
মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনের শেষ দিনে 'পলিটিক্যাল ইকোনমি অব অ্যাগ্রারিয়ান
ফিউচারস ইন বাংলাদেশ: ইনসাইটস ফ্রম স্কপিং স্টাডি' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তার মণ্ডল।
তিনি
বলেন, একসময় ভাবা হতো, ভূমিহীনরা কৃষি থেকে হারিয়ে যাবে। যেহেতু তাদের চাষাবাদের জমি
নেই। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, যাদের ভূমি আছে তাদের চাষবাসের জন্য পারিবারিক শ্রম নেই।
এমনকি ব্যাবস্থাপনার জন্য যে সময় দরকার তাও তারা দিতে পারছে না। তারা এখন জমি লিজ দিয়ে
দিচ্ছে। এতে উভয় পক্ষের উইন উইন সিচুয়েশন তৈরি হচ্ছে। এতে প্রযুক্তি তাদের সহায়তা
করছে। এ অবস্থান দিনদিন বিস্তৃত হচ্ছে। সামগ্রিক খাদ্য ব্যাবস্থাপনার জন্য এটি ইতিবাচক
দিক।
এ
সময় পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর
রহমান বলেন, বাংলাদেশে কৃষি পরিবর্তন হচ্ছে। জলবায়ুসহিষ্ণু কৃষির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার
প্রচেষ্টা চলছে। যমুনার চরে এখন কুমড়া চাষে বিপ্লব ঘটেছে। আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনের
সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। আমাদের কৃষিকে সামনে এগিয়ে নিতে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আরো বিস্তৃতভাবে ভাবতে হবে। কারণ যে কোনো সংকটে কৃষিই আমাদের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সহায়তা
করতে পারে।